ভোক্তাদের মাঝে সামুদ্রিক শৈবালের চাহিদা বাড়ানোর তাগিদ

কক্সবাজার

পরীক্ষামূলক সফলতার পর কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে দিনদিন বাড়ছে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ। কিন্তু বাজার চাহিদা তৈরী ও সামুদ্রিক শৈবালের স্বাস্থ্যগত গুণাবলি সম্পর্কে ভোক্তাদের সঠিক জ্ঞান না থাকায় বাণিজ্যিক চাষে সাহস পাচ্ছে না চাষীরা।

সোমবার সম্ভাবনাময়ী সামুদ্রিক শৈবাল চাষ ও শৈবালের পাউডারের বাজারজাত নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশ। ইউএসএইডের অর্থায়নে কক্সবাজারের একটি তারকামানের হোটেলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ভোক্তা, উদ্যোক্তা, চাষী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা জানান, সামুদ্রিক শৈবালে মানব শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ই, আয়োডিন, অ্যামইনা এসিড সহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। 
সামুদ্রিক শৈবাল খাদ্য হিসেবে গ্রহণের মাধ্যমে মানবদেহের হৃদপিণ্ড, পাকস্থলি, থায়োরেড গ্রন্থি সহ শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে। এছাড়া এটি ওজন হ্রাস সহ ত্বকের নানাবিধ চিকিৎসাতেও কাজে লাগে।সুনীল অর্থনীতির এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশে বাণিজ্যিকভাবে শৈবাল চাষ বাড়লে আয়ের নতুন পথ সৃষ্টি হতে পারে বলে কর্মশালায় তুলে ধরা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. শফিকুর রহমান, ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ প্রকল্পের মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন