যশোরে ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করলেন পুলিশ

যশোর

যশোর শহরের বকচর হুশতলায় ভাড়া বাসা থেকে গত ৯ মে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ এর দিকে  হোসেন আলি গাজীর ছেলে ঔষধ ব্যবসায়ী জহির হাসান গাজীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ, ডিবি ও র ্যাব যৌথ ভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় জহিরের বাম হাতের প্রতিটি শিরায় সন্দেহ জনক ভাবে কালো দাগ পরিলক্ষিত হওয়ায় মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করে। 

বুধবার দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসন জানান। ঘটনাটি চঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানা ও ডিবি পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেন। 

নিহত জহির হাসান গাজীর স্ত্রী শেফালী বেগমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার স্বামী জহির হাসানকে হত্যার দায় স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন । 

তিনি জানান যশোর শংকরপুরের রবিউলের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্কের কারনে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জহির হাসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। 

অভিনব পদ্ধতিতে প্রথমে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে, পূর্ব থেকে সংগৃহিত মোবাইলের ব্যাটারী থেকে এসিড ইনজেকশন সিরিঞ্জ এ ভরে ঘুমন্ত জহির হাসানের বাম হাতের শিরায় পুশ করে। এসিড প্রয়োগে অল্প সময়েই জহির মৃত্যুবরণ করেন মর্মে আসামী স্বীকার করে। 

পরে আসামী শেফালীকে গ্রেফতার করে তার স্বীকার মতে হত্যার রহস্য গোপন করার নিমিত্তে, গোপন করা আলামত ভাঙ্গা মোবাইল, ব্যাটারীর অংশ বিশেষ, নিহতের ঘর থেকে এবং মনিহার ফলপট্টি রোড থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ঘুমের ঔষের খালিপাতা এবং আসামীর কর্মস্থল মাতৃসেবা ক্লিনিক থেকে নমুনা সিরিঞ্জ ও ঘুমের ঔষধ জি-ডায়াজিপাম ৫ মিলিগ্রাম জব্দ করা হয়। এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহতের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করলে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার মামলা রুজু হয়।