মস্কোতে তুরস্ক, সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

মস্কো
মস্কোতে তুরস্ক, সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে

তুরস্ক, সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে মস্কোতে বৈঠক হয়েছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে আঙ্কারা ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এটি এ পর্যন্ত হওয়া সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

গতকাল বুধবার (১১ মে) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ১২ বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্ক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ–বিরোধীদের সমর্থন দিয়েছে। তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলে নিজেদের সেনাও পাঠিয়েছে। শুধু তা–ই নয়, সিরিয়া থেকে যাওয়া ৩৫ লাখের বেশি শরণার্থীকেও আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক।

বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু এক টুইটার পোস্টে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা এবং সিরীয়দের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তিনি আলোচনায় জোর দিয়েছেন।

চাভুসোগলু আরও বলেন, বৈঠকে অন্য যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে আছে—সিরিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নেওয়া এবং সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার সুরক্ষা।

আরও পড়ুন:- সম্পর্ক পুনর্বহাল করেছে সৌদি আরব ও সিরিয়া

আরও পড়ুন:- গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদকে উদ্ধৃত করে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ববর্তী উদ্যোগগুলো সফল না হলেও দামেস্ক ও আঙ্কারার একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে।

মেকদাদ আরও বলেন, সিরিয়া থেকে তুরস্কসহ অন্য দেশের বাহিনীগুলোকে প্রত্যাহারের বিষয়কে আলোচনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইতিবাচক ও গঠনমূলক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিরিয়া-তুরস্ক সম্পর্কোন্নয়নের জন্য দেশগুলোর উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি রূপরেখা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

এর আগে সিরিয়া ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ডিসেম্বরে মস্কোতে আলোচনা করেছেন। রাশিয়া বাশার আল আসাদের প্রধান মিত্রদেশ। এ দেশই সিরিয়াকে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে।

গতকাল বুধবার আসাদকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় আরব লিগ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৯ মে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একে সিরিয়ার আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতা দূর হওয়ার বড় ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।