ফেনীতে দেড়যুগ পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাই গ্রেফতার

ফেনী
আটককৃত দুই ভাই

ফেনীতে নারী নির্যাতন ও হত্যা চেস্টা মামলায় ১৮ বছর পর দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বুধবার(১০, মে) দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার সুজানগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের নোয়াবাদ এলাকার আতু মিয়ার ছেলে লিটন প্রকাশ বাবুল (৩৭) ও তার ভাই মো. সুমন (৩২)।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকালে ফেনীস্থ র‌্যাব-৭ ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মাহবুব আলম বলেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত র‌্যাব ওই আসামীদের গ্রেফতার করতে নজরদারী করতে থাকে। একপর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে তারা দুইজনই কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় শ্রমিকের কাজ করে এবং সেখানেই বসবাস করেন। বুধবার গভীর রাতে র‌্যাব সদস্যরা কুমিল্লার কোতয়ালী থানার সুজানগরে অভিযান চালিয়ে তাদের দুই ভাইকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

র‌্যাব জানায়, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের নোয়াবাদে ২০০৪ সালের ২০ মে ১০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য গৃববধু ফাতেমা আক্তারকে বুকে, পিঠে কিলঘুষি মেরে মৃতপ্রায় অবস্থায় মহাসড়কের পাশে ফেলে দেন স্বামী লিটন এবং দেবর সুমন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় গৃহবধু ফাতেমা বাদী হয়ে ১২ জুন ২০০৪ সালে ফেনী মডেল থানায় স্বামী ও দেবরকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তারা গ্রেফতার হলেও জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে তাদের অনুপস্থিতিতে ফেনীর নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০১১ সালের ২২ মার্চ রায়ে দুই ভাইকে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়।