চেন্নাইকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো কলকাতা

ক্রিকেট
রিঙ্কু সিং আর নীতীশ রানা

রিঙ্কু সিং আর নীতীশ রানা। এই দুই তারকার যুগলবন্দিতেই সিংহের ডেরায় সিংহ বধ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ধোনিবাহিনীকে ধরাশায়ী করে আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছনোর ক্ষীণ আশাও জিইয়ে রাখল শাহরুখ খানের দল। রোববার রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস করেছিল ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। জবাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৪ উইকেটে ১৪৭ রান করে জয় ছিনিয়ে নেয় ৬ উইকেটে।

কলকাতা দলের এক্স ফ্যাক্টর কে? বিগত মরশুমগুলোয় এ প্রশ্ন উঠলে সুনীল নারিন কিংবা আন্দ্রে রাসেলের নাম উঠে আসত। কিন্তু এবার সমস্ত লাইমলাইট ছিনিয়ে নিয়েছেন একজন। যাকে বারবার নানা ঠাট্টা মশকরা সহ্য করতে হয়েছে, সেই রিঙ্কু সিংই এবার নাইটদের নায়ক। কখনো পাঁচ ছক্কা মেরে দলকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছেন তো কখনো বড় রান করে জয়ের কাণ্ডারি হয়েছেন। চিপকের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও যার ব্যতিক্রম হলো না। রোববারই চিপকে এ মরশুমে ধোনির শেষ ম্যাচ। তাই তাকে নিয়েই ছিল যাবতীয় আবেগ। কিন্তু সেই আবেগকে ছাপিয়ে গিয়েও নিজের কর্তব্যে অবিচল রইলেন রিঙ্কু। আর তাতেই এলো কাঙ্ক্ষিত জয়।

পড়ুন>>> অ্যাওয়ে ম্যাচে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের নজির আরসিবির

এদিন প্রথমে ব্যাট করে শুরুতেই ধস নামে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপে। কনওয়ে ৩০ রান করলেও দ্রুত ফিরে যান ঋতুরাজ (১৭), রাহানে (১৬), রাইডুরা (৪)। সে সময় দলের হাল ধরেন শিবম দুবে। তবে চিপকে ১৪৪ রান করে বিপক্ষকে রোখা মুশকিল। যদিও সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ক্যাপ্টেন কুলের মগজাস্ত্র। তার জোরে কেকেআর টপ অর্ডারকে ধাক্কা দেয়াও সম্ভব হয়েছিল। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন জেসন রয়, গুরবাজ, ভেঙ্কটেশ আইয়াররা। কিন্তু রিঙ্কু ও রানাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।

ম্যাচ শেষে ধোনি জানালেন, প্রথমে ব্যাট করে স্পিনারদের সামলানো এবং পরে ব্যাট করে সেই কাজটা করার মধ্যে অনেকখানি পার্থক্য তৈরি হয়ে যায়। কেকেআর স্পিনারদের দাপটেই বড় রান তোলা সম্ভব হয়নি। তবে চিপকে নাইটরা জিতলেও প্লে অফের অঙ্ক এখনো বেশ কঠিন। তা সত্ত্বেও জয়ের অক্সিজেন পেয়ে মিরাকলের আশায় বুক বাঁধছেন কিং খানের দলের সমর্থকরা।