আপনারা কোনো দাবি রাখবেন না: ফারুকের ছেলে

ফারুক

‘আমার বাবা চলে গেলেন। আপনারা আমার বাবার প্রতি কোনো দাবি রাখবেন না। তার জন্য দোয়া রাখবেন। তার যেন বেহেশত নসিব হয়’। 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বরেণ্য অভিনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শেষ শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সবার উদ্দেশে এ কথা বলেন তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ।

সবার উদ্দেশে শরৎ বলেন, ‘সারাজীবন বাবা মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। মৃত্যুর পর আপনারা সেই ভালোবাসা দিয়ে যাবেন। তার আত্মার জন্য দোয়া রাখবেন।’

মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফারুকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত এই নায়ককে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই বিদায় অনুষ্ঠানে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও স্পিকারের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য ফারুককে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এই আনুষ্ঠানিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ফেরদৌস, নিপুণ, জায়েদ খান-সহ ঢাকাই সিনেমার নবীন-প্রবীণ বহু পরিচিত মুখ।

বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে শহীদ মিনার থেকে এফডিসির উদ্দেশে রওনা হয় চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। যাওয়ার আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বেলা একটার দিকে সেটি এফডিসিতে পৌঁছায় মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। 

ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসে। বিমানবন্দর থেকে প্রথমে নেওয়া হয় নায়কের রাজধানীর উত্তরার বাসায়। সেখানে কিছুক্ষণ রেখে ফারুকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এফডিসিতে দ্বিতীয় দফায় জানাজা হবে।

এফডিসি থেকে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হবে চ্যানেল আই ভবনে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে কিংবদন্তী অভিনেতার মরদেহ নেওয়া হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানে বাদ আসর আরেক দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সন্ধ্যা ৭টায় গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালিগঞ্জে নেওয়া হবে। সেখানে দখিন সোম টিওরী জামে মসজিদে জানাজা শেষে পাঠান বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।

সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফারুক। তিনি জিবিএস নামে বিরল নিউরোলোজিক্যাল রোগে ভুগছিলেন।