কেন্দ্রে সাংবাদিক-পর্যবেক্ষকের কাজে বাধা দিলে ৭ বছরের সাজা

প্রধানমন্ত্রী

বৈধভাবে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকের নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশে ও কাজে যে কেউ বাধা দিলে দুই থেকে সাত বছরের সাজার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে (আরপিও)।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মন্ত্রিসভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

এ ছাড়া কোনও কেন্দ্রে অনিয়ম ঘটলে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন বলে তিনি জানান, ইসির এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব সংশোধন করে গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিসভা।

মো. মাহবুব হোসেন আরও জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে গুরুত্ব পেয়েছে ইসির নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা নিয়ে। কোনও কেন্দ্রে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা হলে ইসি নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল। গেজেট প্রকাশের পরও সেই ক্ষমতা চেয়েছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি আরও জানান, ইসির প্রস্তাবে রাজি নয় মন্ত্রিসভা। পুরো আসন নয়, শুধু এক বা একাধিক কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ বা বাতিল করতে পারবে ইসি। সবদিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলাভিত্তিক নন, আসনভিত্তিক করার বিধানও যুক্ত হয়েছে সংশোধনীতে।

জাতীয় নির্বাচনের সময় আর বেশি নেই। এর আগেই সংশোধিত হচ্ছে গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের (আরপিও) কয়েকটি ধারা, জানান তিনি।

এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ এবং বিলখেলাপিরা তাদের খেলাপি টাকা পরিশোধ করলেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধনীতে। বিদ্যমান আইনে সাত দিন আগে এসব পরিশোধের বিধান রয়েছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, আরপিওতে যুক্ত হচ্ছে আরও কিছু নতুন ধারা। সে অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত ইউটিলিটি বিল জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। একইভাবে আয়করের রশীদ সাবমিট করতে হবে। রাজনৈতিক দলের গঠণতন্ত্র, আয়ব্যয় জমা দেওয়ার সময়সীমা ২০২০ থেকে বাড়িয়ে ২০৩০ সাল করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন অনুযায়ী একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা আগে জেলাভিত্তিক হতেন। এখন আসনভিত্তিক করার বিধানও সংশোধনীতে যুক্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি আরও জানান, মন্ত্রিসভা প্রকিউরমেন্ট অথরিটি আইন, সুরক্ষিত লেনদেন, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনসহ তিনটি আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।