চীনের বেইজিংয়ের আদলে রাজধানীতে নির্মাণ করা হবে কাঁচাবাজার: আতিক

ডিএনসিসি

চীনের বেইজিংয়ের পাইকারি কাঁচাবাজারের আদলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পাইকারি কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'বেইজিংয়ের হোলসেল মার্কেট থেকে কনসেপ্ট (ধারণা) নিয়ে ডিএনসিসির মার্কেট তৈরি করা হবে। এখানকার মার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি, তারা আমাদের সঙ্গে ডিজাইন শেয়ার করবে। ডিএনসিসির হোলসেল মার্কেটে বেইজিংয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে।'

সোমবার (২২ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বড় কাঁচাবাজার সিনফার্তি মার্কেট পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। এই হোলসেল মার্কেট থেকে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের ৮০ ভাগ খাবার সরবরাহ করা হয়।

মেয়র বলেন, 'আগে বেইজিংয়ের অনেক ব্যবসায়ী ফুটপাতে দোকান করতো। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে সিনফার্তি মার্কেট বেইজিংয়ে যে উদাহরণ সৃষ্টি করলো সেটি অনুসরণ করে বেইজিংয়ের মতোই ডিএনসিসিতে হোলসেল মার্কেট করা সম্ভব হবে।'

আরও পড়ুন:- আমদানিতেও কমছে না আদার দাম, কেজিতে বিক্রি ৪০০ টাকা

ঢাকাতে দুটো পাইকারি মার্কেট হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে ঢাকায় দুটো পাইকারি মার্কেট হবে। একটি হবে ঢাকা উত্তরে, অন্যটি ঢাকা দক্ষিণে। পাইকারি মার্কেট করার পর ঢাকার মধ্যে কোন পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে পারবে না। এটি করতে পারলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক অনেক কমে যাবে।'

ঢাকা শহরকে সুন্দর করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমাদের কারওয়ান বাজারকে সরিয়ে গাবতলীতে যে ডিএনসিসি মার্কেট করা হয়েছে সেখানে এবং আরেকটি অংশ যাত্রাবাড়িতে করা হবে। তার আগে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। কারওয়ান বাজার যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে গাবতলী নেওয়ার পর সবজির মার্কেট কোথায় হবে, মাংসের মার্কেট, মাছের মার্কেট কোথায় হবে পুরোটার মাস্টারপ্ল্যান আমরা করে ফেলেছি। মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে পর্যায়ক্রমে কারওয়ান বাজার থেকে মার্কেট সরিয়ে নেবো। চ্যালেঞ্জ থাকবে, কিন্তু শহরটাকে সুন্দর করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।'

আরও পড়ুন:- পেঁয়াজের কেজি ৮০, আমদানির অনুমতি চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ডিএনসিসির পাইকারি মার্কেটে সিনফার্তির মতো আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, 'গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি মার্কেটে ছোট আকারের পাওয়ারপ্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করেছি। কারণ অনেক বিদ্যুতের দরকার আছে। মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ সিনফার্তির মতো মার্কেটে হিমাগার দরকার, তাপমাত্রা কন্ট্রোল করা দরকার। এসব জায়গায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবার রাখা দরকার। এগুলো তারা সঠিক ব্যবস্থপনায় রেখেছে। তাজা খাবারের জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দরকার।'

বেইজিংয়ের সিনফার্তি মার্কেট পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মাহে আলম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান প্রমুখ।-বিডি প্রতিদিন