অনলাইনে এক মাসে ৩২৬ কোটি টাকা ভূমিকর আদায়

ভূমিকর

গত এক মাসে ৩২৬ কোটি টাকা ভূমিকর আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। অনলাইনে ভূমি কর আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সম্পদ কর আহরণের সুযোগ শীর্ষক এক সংলাপে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গত অর্থ বছরে ৬২১ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছিল। ম্যানুয়ালের পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক কর আদায় ব্যবস্থা চালু হলে ২০২১ সালে মোট কর আদায় হয়েছিল ৭৯৭ কোটি টাকা। ১৪ এপ্রিল থেকে ভূমিকর আদায় সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক করায় এ বছর দুই হাজার কোটি টাকার কর আদায় হতে পারে বলে ধারনা দেন তিনি।

অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কর জিডিপি অনুপাত অত্যন্ত কম মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আয় বাড়ানোর অংশ হিসেবে ভূমিকর আদায় বাড়াতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য ভূমি আইনে সংশোধন আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সিপিডির ফেলো ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করতে গিয়ে ধনী ব্যক্তিদের ওপর যৌক্তিক হারে সম্পদ কর আরোপের প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, দেশের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, জিডিপি আকারও বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধনী-গরিবের আয় বৈষম্য। সম্পদ কর এই বৈষম্য কমাতে সহায়তা করবে। তবে এ জন্য যৌক্তিক কর হার নির্ধারণসহ ন্যায্যতা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন ডক্টর দেবপ্রিয়।

সম্পদ কর আরোপের প্রস্তাবে স্বাগত জানিয়ে গবেষণা সংস্থা পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গুলশান-বনানীর মত এলাকায় যারা পর্যাপ্ত কর দেন না, তাদের যুক্তি হলো- তাদের মূল্যবান জমি আছে, কিন্তু তা থেকে পর্যন্ত আয় নেই বা নগর অর্থ নেই। এমনকি নিজে হয়তো ৩০০-৪০০ কোটি টাকা মূল্যের জমির ওপর এক বা দুই তলা বাড়ি করে নিজে বসবাস করছেন। তাদের ওপর সম্পদ কর আরোপ করতে হবে। তবে এমন প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী।