পিটিআই

ইমরান খানকে ছেড়ে যাচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতারা

ইমরান খান
ফাওয়াদ চৌধুরী, আসাদ উমর ও শিরিন মাজারি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতারা হঠাৎ করে পদত্যাগ বা রাজনীতি থেকে সরে যেতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ইমরানের মেয়াদে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতাও সরে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন তারা আর রাজনীতি করবেন না। কেউ বলছেন ইমরান ও দল থেকে দূরে থাকবেন।

তবে ইমরান খান দাবি করেছেন, সেনাবাহিনীর ধরপাকড় ও চাপে পড়ে তার আস্থাভাজন শীর্ষ নেতারা এমন আচরণ করছেন।

বুধবার (২৪ মে) ইমরানের নেতৃত্বাধীন সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ফাওয়াদ চৌধুরী পিটিআই ছাড়ার ঘোষণা দেন। শুধু তাই নয়, রাজনীতির পাশাপাশি পিটিআই ও ইমরান খান থেকেও কয়েকদিন দূরে থাকবেন বলে জানান তিনি।

টুইট বার্তায় ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, `৯ মের ঘটনায় আমি ঘৃণা জানাই। আমি রাজনীতি থেকে ইস্তফা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলে পদ ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি আমি ইমরান খানের সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রাখবো।`

এর কয়েক ঘণ্টা পর পিটিআই মহাসচিব ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর জানান, তিনি এই পদে আর থাকবেন না। কিন্তু দলের কর্মী হয়ে থাকবেন। ইসলামাবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটি ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ` ৯ মের ঘটনার পর এই পদে দায়িত্ব পালন করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই আমি দলের মহাসচিব ও গুরুত্বপূর্ণ কমিটি থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিচ্ছি।’ এর আগে সন্ধ্যায় ১৪ দিনের জামিন পান আসাদ উমর।  

এর আগে মঙ্গলবার সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজারিও পিটিআই এবং রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন।

এই তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ৯ মের সংঘাতের একদিন পর ইসলামাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তারা।

ওইদিন ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদের সারাদেশে বিক্ষোভ চলছিল। যা রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসব সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে তারা বাইরে বের হওয়ার পরই অজানা কারণে পিটিআই এবং রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

বুধবার এক অডিও বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, তার নেতাদের ওপর ধরপাকড় চালানো হচ্ছে এবং দলের বেশিরভাগ নেতা এখন বন্দী। তিনি জানিয়েছেন, দলের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন সেই সুযোগও নেই।

এদিকে গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে হামলা চালায়। এছাড়া হামলা হয় লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাড়িতেও। সেনাবাহিনীর অবকাঠামোয় হামলা চালানোর অভিযোগে এখন পিটিআইয়ের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা