৭ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে ঢাবির অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা 

ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৯টা থেকে মানববন্ধন করে রেজিস্ট্রার ভবনে হয়রানি, ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব, শিক্ষকসংকট, ক্লাসরুম সংকট, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের যথাযথ প্রণয়ন না করাসহ সাত দফা দাবিতে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছে।

মানববন্ধনের বিষয়ে জানিতে চাইলে, সরকারি সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি তছলিম চৌধুরী জানান, গত ২১ মে রবিবার আমরা সাত কলেজ সমন্বয়ক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ম্যাডামের স্বাক্ষরিত সাত কলেজের কিছু দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবনে যাই এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রদ্ধেয় বাহালুল হক স্যারের সাথে দেখা করার জন্য আবেদন করি।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের একান্ত সচিব আমাদের কথা বাহালুল হক স্যারকে জানালে তিনি আমাদের সাথে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান, আমরা কল দিলে ওনি রেসপন্স না করে, আমাদের এই রুম থেকে ওইরুমে পর্যায়ক্রমে পাঠায়, আমাদের ৩৪৫ নং রুমে পাঠালে ওখান থেকে ৩৪৬ নং রুমে পাঠিয়েছে পরে ওই রুমে গেলে তারা ৩৫০ নং রুমে পাঠায় এক পর্যায়ে তারা আমাদের হয়রানি করতে শুরু করে এবং আমাদের সাথে তামাশাসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এরই প্রতিবাদে ও সাত কলেজের সাত দফা দাবি তে আমরা মানববন্ধনের ডাক দিই।

মানববন্ধন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে আমরা ঢাবি কতৃপক্ষকে কঠোরভাবে বার্তা দিতে চাই, সাত কলেজ নিয়ে তামাশা করা বন্ধ করতে হবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

সাত কলেজের সাত দফা দাবিগুলো হল:

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

২. যে সকল শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন- প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

৩. সকল বিষয়ে পাশ করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেম এর জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

৪. বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

৫. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে/ কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।

৬. একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রনয়ণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।