ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র একসাথে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম

ইরান
‘খোররামশাহ-৪’ মিসাইল

সম্প্রতি ইরানে উন্মোচিত করা হয়েছিল নির্ভুল নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ‘খোররামশাহ-৪’। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করলেন দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ।

সোমবার (৩০ মে) আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল ‘খোররামশাহ-৪’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে বলেন, ‘কেবল একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় কিন্তু যখন এটি তার লক্ষ্যে পৌঁছায়, তখন এটি একসাথে ৮০টির মতো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর মানে, যদি আমরা এই ধরনের ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করি, তাহলে শত্রুর ভূমিতে ৬ হাজার ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।’

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পশ্চিমা-সমর্থিত সাদ্দাম বাথবাদী শাসনের হাত থেকে ১৯৮২ সালে খোররামশাহ শহরের মুক্তির বার্ষিকীতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে ‘খোররামশাহ-৪ দূরপাল্লার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র’ উন্মোচন করা হয়।

আরও পড়ুন:- ইরানের উদ্ভাবিত নতুন ক্ষেপণাস্ত্রকে ভয়ংকর হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তারা নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন, এটি শত্রু সাইবার আক্রমণ প্রতিহত এবং নস্যাৎ করতে একটি সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত যা এটিকে বাধা দেওয়া অসম্ভব করে তোলে।

খোররামশাহ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অ্যারোস্পেস অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞদের ডিজাইন করা সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি। এটরি পরিসীমা ২ হাজার কিলোমিটার এবং এটি দেড় হাজার কেজি ওজনের একটি উচ্চ-বিস্ফোরক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত।

সূত্র: মেহের নিউজ।