শাহরুখপুত্রের মামলার সেই তদন্ত কর্মকর্তাকে ফের বদলি

পুত্রের সঙ্গে শাহরুখ খান

বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্তকারী ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো-এনসিবির সাবেক কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে চেন্নাইয়ের শুল্ক সেবা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

সমীর ছাড়াও এনসিবির আরও দুই কর্মকর্তা পি রাম মোহন এবং টি রাজশ্রীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের কর্ডেলিয়া নামের একটি প্রমোদতরীর পার্টি থেকে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল এনসিবি। ওই মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে।

ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো-এনসিবির সাবেক কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো-এনসিবির সাবেক কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েতদন্ত কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার পর তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এনসিবি থেকে মুম্বাইয়ের জেনারেল অব অ্যানালিটিকস অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বদলি করা হয়।

গত সপ্তাহে ওই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে এনসিবি অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেখানে বলা হয়, আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। 

তার চার দিনের মাথায় সমীর ওয়াংখেড়েকে আবারও বদলির খবর এল। এবার তাকে চেন্নাইয়ের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ট্যাক্সপেয়ার্স সার্ভিসেসে পাঠানো হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শাহরুখপুত্রের মামলার তদন্তের শুরু থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েন ওয়াংখেড়ে। তার অনুসন্ধান কার্যক্রমের তদন্তে বিশেষ অনুসন্ধান টিম (এসআইটি) গঠন করা হয়। পরে এসআইটি জানায়, আরিয়ানকে ‘ফাঁসানো’ হয়ে থাকতে পারে।

মামলা দায়েরের সাত মাস পর শুক্রবার (২৭ মে) ছয় হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দিয়ে এনসিবিও আরিয়ান খানের কোনো ‘দোষ না পাওয়ার’ কথা বলেছে।

সেখানে বলা হয়, কর্ডেলিয়া থেকে গ্রেপ্তারদের মধ্যে আরিয়ানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ‘যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি’। সে কারণে অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

অথচ আরিয়ানকে গ্রেপ্তারের পর এনসিবি কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, শাহরুখপুত্র নিজে নিয়মিত মাদক নেন এবং সরবরাহও করেন। আরিয়ান ও তার আইনজীবী আদালতে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর প্রধান এস এন প্রধান বলেছেন, তারা ওয়াংখেড়ের প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রমে অনিয়ম পেয়েছেন।

টাইম অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, একই অভিযোগ ছিল এনসিবির আরেক কর্মকর্তা ভিভি সিংয়ের বিরুদ্ধে, ‍যিনি আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ রিপোর্ট লিখেছিলেন। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও এনসিবি থেকে এখনও সরিয়ে দেওয়া হয়নি।