বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে এবার বরিশালে বাস চলাচল বন্ধ

রাজনীতি
বরিশাল জেলা বাস মালিক

বিভিন্ন দাবি আদায়ে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশালে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর দেওয়া সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাসরেক ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এদিকে আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে দুই দিন গণপরিবহন ধর্মঘট পালন করেন পরিবহন মালিকরা। 

চিঠিতে বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির নেতারা দাবি আদায়ে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায় ৪ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ ও অভ্যন্তরীণ বাস টার্মিনাল রূপাতলী থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। 

চিঠিতে বাস মালিক সমিতির নেতারা উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ২৯ মে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে এক সভায় দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, ভটভটি, টমটম, আলফা, মাহেন্দ্র, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য পরিবহন মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন এখনো চলাচল করছে। এ জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এমতাবস্থায় মহাসড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের জন্য ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন তারা। ওই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৪ থেকে ৫ নভেম্বর দুই দিন দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বলেন, এমনটা করা হবে, সেটা আমরা নিশ্চিত ছিলাম। কারণ চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সর্বশেষ খুলনায় এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সরকার গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল।  কিন্তু তা সফল হয়নি, এখানেও হবে না।