বিড়াল প্রেমীদের মিলনমেলা, মিরপুরে হলো ঢাকা ক্যাট শো ২০২৩ 

মিরপুর
  © সংগৃহীত

দুই দিকে সারি ধরে বাহারি সাজে সাজানো বিড়ালের দল। নিজের প্রিয় বিড়ালটিকে নানা ধরনের পোশাক পরিয়ে সাজিয়েছেন মালিকরা। এদের সঙ্গে খেলা-আনন্দে মেতেছেন বিড়ালপ্রেমীরা। অন্যদিকে মঞ্চে বিড়ালদের লড়াই চলছে। এ দৃশ্য দেখলে মনে হতে পারে, বিড়ালের রাজ্যে এসে পড়লাম বুঝি!

দেশি-বিদেশি জাতের বিড়ালদের এই জমজমাট মেলা বসেছিল ঢাকার মিরপুরে। পারসিয়ান ক্যাট সোসাইটি অব বাংলাদেশ মিরপুর ১-এর ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে এর আয়োজন করে। মেলায় দেশি বিড়ালের চেয়ে বিদেশি জাতের বিড়ালই বেশি ছিল। এর মধ্যে দেশে বিড়ালপ্রেমীদের কাছে পারসিয়ান জাত হিসেবে পরিচিত বিড়ালরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। পারসিয়ান এই বিড়াল ইরান নয়, বরং আসে মিসর ও তুরস্ক থেকে। এটি একটি সংকর জাত।

রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিড়ালপ্রেমীরা তাঁদের প্রিয় পোষ্যটি নিয়ে এ মেলায় অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ৩০০টি বিড়াল অংশ নেয় এতে।

বিড়াল প্রদর্শনীতে ছিল নানা আয়োজন। ফুটবল ম্যাচ, মনিবের ডাকে বিড়ালের কাছে আসা, বিড়ালের পোশাক প্রদর্শনী, বিড়ালদের র‌্যাম্প শো ও লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবান বিড়াল নির্ধারণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঢাকা ক্যাট শো ২০২৩।

শো শুরু হয় কিটি ফুটবল ম্যাচের মধ্য দিয়ে। মালিকরা তাঁদের পোষা বিড়ালটির কাছে বল ছুড়ে দেন। বিড়ালকে বলটি মুখে নিয়ে বা লাথি দিয়ে মালিকের কাছে পৌঁছাতে হবে—এই হচ্ছে খেলার নিয়ম। মাত্র পাঁচ মিনিটের এই খেলায় মেতে ওঠে পুরো কমিউনিটি সেন্টার। এতে জয়ী হয় ‘ফিওনা’ নামের বিড়ালটি।

কিটি ফুটবলের পরে ছিল রেসপন্স টু প্যারেন্টস। অর্থাৎ মালিকের ডাকে বিড়ালকে তাঁর কাছে আসতে হবে। ৩০টিরও বেশি বিড়াল এ খেলায় অংশ নেয়। তবে ব্যাপক হৈচৈসহ নানা আওয়াজের কারণে বেশির ভাগ বিড়ালই শুনতে পায়নি মালিকের ডাক। তবে ‘সেম, ক্যান্ডি, মিনি ও ব্র্যান্ডি’ ঠিকই চিনে নেয় মালিকের আদুরে ডাক।

রেসপন্স টু প্যারেন্টসের পর যেমন খুশি তেমন সাজো। এখানে প্রিয় পোষ্যকে মনের মতো পোশাকে হাজির করেন মালিকরা। এদের দেখাচ্ছিল খুবই আকর্ষণীয়। বিচারকদের রায়ে বিজয়ী হয় বিড়াল ‘টাফি, ‘ডোরা’ ও ‘পিনাট’।

র‌্যাম্প শো ও লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবান বিড়াল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ক্যাট শো। ভাগ্যবান বিড়াল নির্বাচিত হয় বিড়াল ‘জই’।

ক্যাট শোতে অংশগ্রহণ করেন আনন্দিত বিড়ালপ্রেমীরা। তাঁরা চান এ ধরনের আয়োজন যেন প্রতিবছরই হয়। বারিধারা ডিওএইচএস থেকে এসেছিলেন মতিয়া মতি। তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা থেকেই বিড়াল পুষি। ছোটবেলা থেকেই দেশি বিড়াল পুষতাম। এখন অনেক ধরনের বিড়াল আমার বাসায় আছে। আজকের এই ক্যাট শোতে আসতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’

ক্যাট শোতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আঁচল। ক্যাট শোর পাশাপাশি ছিল পেট জোন কেয়ার। যেখানে ৫০টি বিড়ালকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ২৫টি বিড়ালকে প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ