তীব্র তাপপ্রবাহে পানি শুকিয়ে জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরনো শহর
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৪:২৩ PM , আপডেট: ০১ মে ২০২৪, ০৪:২৩ PM

১৯৭০ সাল। তৈরি করা হচ্ছে বাঁধ। অন্যদিকে, এই কারণেই পুরো একটি শহর পানির নিচে তলিয়ে যায়। তবে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাঁধের পানি শুকিয়ে গেলে দৃশ্যমান হয় শহরটি। এমনই এক বিরল ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
ফিলিপাইনে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষের আবারও দেখা মিলেছে। কৃত্রিম হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় শহরটি এখন দৃশ্যমান।
খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন। এক সময়ের বিশাল অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষের ওপর উঠে অনেকে ছবি তুলে রাখছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহে একটি বড় বাঁধের ভেতরের জলাধার শুকিয়ে গেছে। ওই বাঁধ নির্মাণের ফলে ১৯৭০-এর দশকে প্রাচীন পান্তাবঙ্গন শহরটি নিমজ্জিত হয়। কিন্তু আবহাওয়া শুষ্ক, গরম ও খরায় হঠাৎ শহরটি দৃশ্যমান হয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
ফিলিপাইনে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল খরার সম্মুখীন। কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। বলা হচ্ছে, কিছু শহরে এতই গরম, সেখানে শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
চরম তাপপ্রবাহ লক্ষাধিক মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করেছে। বন্ধ রাখতে হচ্ছে স্কুল। অনেক অফিসের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এ পরিস্থিতি সহসা কাটছে না। আগামী দিনে গরম আরও বাড়তে পারে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার একজন প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন বলেন, বাঁধটি নির্মাণের পর এবারই শহরের বেশ বড় অংশ পানির উপরে রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া অফিসের আবহওয়াবিদ বেনিসন ইস্তারেজা বলেন, পান্তাবঙ্গন বাঁধ ছাড়াও অন্যান্য ড্যামের পানি আশঙ্কাজনক হারে শুকিয়ে যাচ্ছে। সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে সেখানকার পানির স্তর স্বাভাবিক উচ্চ মাত্রা ২২১ মিটার থেকে প্রায় ৫০ মিটার কমেছে।
ইতিহাস বলছে, ১৬৪৫ সালে স্প্যানিশ মিশনের এক পুরোহিত পান্তাবঙ্গনে বসতি স্থাপন করেন। ধীরে ধীরে এটি গ্রামে পরিণত হয়। এরপর ১৭৪৭ সালে এলাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিপাইনের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯০০ সালে পান্তাবঙ্গন আনুষ্ঠানিকভাবে শহরের মর্যাদা পায়। এ শহরটি ঘিরে ফিলিপাইনের বাসিন্দারা আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন শহরটির ধ্বংসাবশেষ যথাযথভাবে সংরক্ষণে দাবি জানিয়ে আসছে।