১০ বছর ধরে মক্কার হাজীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এই বাংলাদেশি

হজ
  © সংগৃহীত

মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান মক্কা। আর এই মক্কায় টানা ১০ বছর ধরে হাজিদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার হাফেজ মুহাম্মদ হাসান মানছুর মাক্কী। আল্লাহর ঘরের আগত অতিথিদের সেবায় নিয়োজিত এ যুবকের কাজে খুশি স্বজন ও এলাকাবাসী।

জানা যায়, উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের আয়নাতলী গ্রামের পুরান পাটওয়ারী বাড়ির মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান পাটওয়ারীর ছেলে হাফেজ হাছান মানছুর মাক্কী বাংলাদেশের হজ মিশন ও পবিত্র মসজিদে হারামে অনুবাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাজিদের জরুরি চিকিৎসাসেবা, ভাষাগত সহায়তা ও হজ সম্পৃক্ত মাসলা-মাসায়েল জানিয়ে দিচ্ছেন।

এছাড়া হজ করতে গিয়ে যেসব হাজি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের সঙ্গে দোভাষী হিসেবে কাজ করেন মানছুর। হাজিদের কষ্টের কথাগুলো ভাষান্তর করে জানান সেখানকার চিকিৎসকদের। এ ছাড়া আরবিতে চিঠি চালাচালিসহ অসুস্থ হাজিদের দেশে পাঠানো পর্যন্ত সব প্রক্রিয়াতে যুক্ত থাকতে হয় মানছুরকে।

হাফেজ মুহাম্মদ হাসান মানছুর মাক্কী এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, টানা ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও ক্লান্তিবোধ আসে না। ‘আল্লাহর ঘরের মেহমানদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত, আজীবন আমি এ খেদমতে থাকতে চাই।

তার স্বজনরা জানান, হাফেজ মুহাম্মদ হাসান মানছুর মাক্কী ২০১৪ সালে মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে (জামেয়া উম্মুল কোরা) স্কলারশিপ পেয়ে সেখানে অনার্স ও উচ্চতর ডিপ্লোমা শেষ করেছেন। বর্তমানে তিনি পবিত্র মসজিদ আল হারাম, মক্কায় বাংলাদেশের হজ মিশনের অনুবাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি অনুবাদক হিসেবে সৌদি সরকার পরিচালিত দা’ঈ ইলাল্লাহতে, বাংলাদেশ হজ মিশন, কন্ট্রোল রুম পরিচালক, আন নূর হাসপাতাল, কিং আব্দুল্লাহ হাসপাতাল, কিং ফয়সাল হাসপাতাল, কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতাল আজইয়াদ হাসপাতাল ও সরকারি লোকাল হজ গাইড বাংলাদেশের অনুবাদক হিসেবে ১০ বছর ধরে কাজ করে আসছেন।

আয়নাতলী গ্রামের মো. মাসুদ আলম ও মো. রাকিবুল হাসান জানান, আমাদের গ্রামের সন্তান মক্কায় হাজিদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। গ্রামবাসী হিসেবে তার জন্য আমরা গর্বিত।

চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জোবায়েদ কবির বাহাদুর জানান, ‘আমাদের ইউনিয়নের আয়নাতলী গ্রামের যুবক হাফেজ মুহাম্মদ হাসান মানছুর পবিত্র মক্কায় হাজিদের সেবা করছেন যেটা অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। তিনি আমাদের এলাকার সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।’

তথ্যসূত্র: কালবেলা


মন্তব্য