৫৮ স্টাফের সঙ্গে সম্পর্ক ও ঘুষের অভিযোগে নারী কর্মকর্তার জেল-জরিমানা!

চীন
  © সংগৃহীত

চীনের এক নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ১৩ বছরের জেল ও ১০ লাখ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি ৯১ লাখ ৯ হাজার ২৪৭ টাকা) জরিমানা করেছেন দেশটির আদালত। ৫৮ জন অধীনস্থ কর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এই শাস্তি দেওয়া হয় ওই নারী কর্মকর্তাকে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অভিযুক্ত ওই নারীর নাম ঝং ইয়াং। তিনি দ্য বিউটিফুল গভর্নর হিসেবেও পরিচিত। এই নারী গুইঝৌ প্রদেশের কিয়ানান অঞ্চলের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির উপচিব এবং গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসেও (এনপিসি) তাঁর পদ ছিল। 

অভিযোগ উঠেছে, ঝং ইয়াং তাঁর ৫৮ জন পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন এবং প্রায় ৬ কোটি ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০১ কোটি ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৩ টাকা) ঘুষ নিয়েছেন।
 
জানা গেছে, ৫২ বছর বয়সী ঝং ২২ বছর বয়সে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হন। তিনি কৃষকদের সহায়তার জন্য কৃষি সমিতি শুরু করে আলোচনায় আসেন। সেইসঙ্গে বয়স্কদের সহায়তার জন্য কাজ করে সুনাম অর্জন করেছেন। 
 
গত জানুয়ারিতে গুইঝৌ রেডিও ও টেলিভিশনে ঝংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রথম ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, পছন্দের কোম্পানিগুলোকে সরকারি বিনিয়োগ পাইয়ে দিতে ঝং ঘুষ নিয়েছিলেন।  

ওই ডকুমেন্টারিতে এক কর্মকর্তা জানান, ব্যক্তিগত সম্পর্ক না গড়লে ঝং তাঁকে সহায়তা করতেন না। এ ছাড়াও ঝংয়ের বিরুদ্ধে তাঁর ৫৮ অধীনস্থ কর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, ঝংয়ের কাছ থেকে সুবিধা পেতে তাঁরা এই সম্পর্ক করেছেন। তবে অনেকেই মুখ খুলতে রাজি হয়নি।  

গত এপ্রিলে ঝংকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি মাসে তাঁকে সিপিসি ও এনপিসি থেকেও বাদ দেওয়া হয়।

তবে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য ঝং ওই ডকুমেন্টারিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সত্যিই লজ্জিত এবং বিব্রত।’