হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালালেন স্বামী
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২২, ১০:৫৪ PM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২২, ১০:৫৪ PM

ভালোবাসার বিয়ে। একসাথে ঘর করছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরতেই পরের বছর মারা গেলেন সেই প্রিয়তমা। আর তার স্ত্রী বর্ষারাণী রাজভর (১৮) মরদেহ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে গেলেন স্বামী। এমন অভিযোগ উঠেছে দীপ্ত রাজভর (২৪) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার (১১ জুলাই) রাতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত বর্ষারাণী রাজভর (১৮) গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম বিলাসপুর এলাকার বাদল রাজভরের মেয়ে এবং গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বামী দীপ্ত রাজভর (২৪) গাজীপুর মহানগরের উত্তর বিলাসপুর এলাকার রামনাথ রাজভরের (৫৫) ছেলে।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর শ্বশুর রামনাথ রাজভরকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।
মৃতের মা লক্ষী নারায়ণ রাজভর জানান, ২০২১ সালের মার্চে ভালোবেসে বিয়ে করেন তার মেয়ে ও দীপ্ত। তবে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে আমাদের বাড়িতে তেমন আসতে দিতো না। এসএসসি পাসের পর ২০২২ সালে বর্ষাকে গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। বর্ষা আরও লেখাপড়া করুক তা শ্বশুরবাড়ির লোকজন পছন্দ করতো না। বিভিন্ন সময় স্বামী-শাশুড়িসহ যৌতুকের জন্য বর্ষাকে চাপ দিতেন।
তিনি আরও জানান, দীপ্তর দাদিকে দিয়ে বর্ষার কাছে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার দিতে বলা হয়। এসব নিয়ে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় কলহ হতো। সোমবার রাত ৮টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। আমার মেয়ের শ্বশুর রামনাথ রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে জানায় বর্ষা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাকে দেখার জন্য হাসপাতালে যেতে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় স্বামী দীপ্ত কাছে ছিল না।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন বলেন, বর্ষার কপাল ও গলার নিচে কালো দাগ রয়েছে। দীপ্তর বাবা রামনাথকে সোমবার রাতেই হাসপাতাল চত্বর থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। স্বামী-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত অবস্থায় সোমবার রাত ১১টার দিকে দীপ্ত হাসপাতালে বর্ষার মরদেহ রেখে গেছে।