শুভ জন্মদিন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০২ PM , আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০২ PM

বাংলার নবজাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইকন শুধুই পণ্ডিত নন। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের জাল ছিন্ন করে প্রবর্তন করলেন বিধবা বিবাহের৷ বাংলা বর্ণের অক্ষরজ্ঞানের সঙ্গে মানুষের প্রথম পরিচয় হয়েছে ‘দয়ার সাগর’ বিদ্যাসাগরের সৃষ্টি বর্ণপরিচয়ের হাত ধরেই। আজ, ২৬ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০২তম জন্মদিন। তিনি ছিলেন উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। বিদ্যার সাগর, জ্ঞানের সাগর, দয়ার সাগর, করুণার সাগর সব বিশেষণই তাঁর ক্ষেত্রে যথাযথ।
১৮২০ সালের আজকের দিনে মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাঁর পিতা ছিলেন ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, মাতা ভগবতী দেবী। ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ছিলেন বিদ্যাসাগর। ১৮২৮-এর নভেম্বর মাসে পাঠশালার শিক্ষা শেষ করে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য পিতার সঙ্গে কলকাতায় আসেন বিদ্যাসাগর। অল্প বয়স থেকেই পড়াশুনায় ভালো ছিলেন তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথমে গ্রাম্য পাঠশালায় এবং পরে ১৮২৯-এর ১ জুন কলকাতা গভর্নমেন্ট সংস্কৃত কলেজে ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি। আর তারপরেই তাঁর জীবনের গতি পাল্টে যায়। শিক্ষকতা দিয়ে নিজের জীবন শুরু করেছিলেন।
কলেজে ব্যাকরণ পড়ার সময় ইংরেজি শ্রেণীতেও ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১৮৩১-এর মার্চে বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য মাসিক ৫ টাকা হারে বৃত্তি এবং ‘আউট স্টুডেন্ট’ হিসেবে একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ ও ৮ টাকা পারিতোষিক পান। ১৮৩৩-এ ‘পে স্টুডেন্ট’ হিসেবে ২ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। এইভাবে তাঁর পথ চলা শুরু হয়। পরবর্তীতে ক্ষীরপাই নিবাসী শত্রুঘ্ন ভট্টাচার্যের কন্যা দীনময়ী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। এদিকে দর্শন আর অর্থশাস্ত্রের উপর জোর দেন বিদ্যাসাগর। বাল্যবিবাহ রোধ করে নারী শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার সঙ্গে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করে বিধবা বিবাহ শুরু করেন।