মাহি এমপি প্রার্থী হওয়ায় ‘মাথাব্যথা নেই’ ডা. মুরাদের

মাহি
  © ফাইল ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) আসন থেকে এমপি হতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। দেশের খ্যাতনামা এই নায়িকার জীবনের নতুন পর্বে প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় ‘কোনও মাথাব্যথা নেই’ বলে জানিয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি। 

গত বছরের শেষ দিকে চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে ফোনালাপ ফাঁসকে কেন্দ্র করে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েছিলেন মুরাদ হাসান। যিনি এখন নিজের নির্বাচনি এলাকা জামালপুরে অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মাহিয়া মাহি। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনি এলাকার গোমস্তাপুর উপজেলা ও রহনপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। জাতীয়ভাবে মাহির এমপি প্রার্থী হওয়ার খবরে আলোচনা তৈরি হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা চান আসন্ন ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেন, ‘চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি আওয়ামী লীগের এমপি হলে এতে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই কিংবা এ বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। এটি সম্পূর্ণ দলীয় বিষয়।’

ডা. মুরাদ হাসান আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দলের সভানেত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চাচা; তারা যা ভালো মনে করবেন তাই সিদ্ধান্ত নেবেন। দলীয় মনোনয়ন বোর্ড আছে আওয়ামী লীগের, তারাও সিদ্ধান্ত নেবেন কে এমপি হবে, কে মনোনয়ন পাবে।’

মাহির মনোনয়ন ফরম তোলার খবরে নতুন করে আলোচনায় এসেছে মুরাদ হাসানের সেই অডিওর বিষয়টিও। যিনি সেই অডিওতে ‘প্রকাশ অযোগ্য’ মন্তব্য করেছিলেন। সেই ঘটনার জের ধরে ডিবি পুলিশ ডেকেছিল চিত্রনায়ক ইমনকে। তিনি সেখানে জানিয়েছিলেন, মুরাদ হাসান ও মাহির টেলিফোন আলাপের ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের মার্চ মাসে। তার ফোনেই মাহির সঙ্গে কথা বলেছিলেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। ওই ভাইরাল অডিও ক্লিপটি নিয়ে তদন্তে নেমেছিল বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স- র‍্যাব।