বিএনপির পদযাত্রায় অস্ত্র উঁচিয়ে স্লোগান, আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর

বিএনপি
জাহিদুল হাসান ওরফে উত্তইরা জাহিদ (৩২)  © সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপির পদযাত্রা ও মিছিল থেকে এক তরুণ অস্ত্র উঁচিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। ওই সময় ছাত্রলীগের চার কর্মীর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার বরমী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নেওয়া অস্ত্রধারী ওই তরুণের নাম জাহিদুল হাসান ওরফে উত্তইরা জাহিদ (৩২)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সাদুয়া গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে। জাহিদ শ্রীপুরের বরমী এলাকায় শামসুল হকের বাসায় ভাড়া থাকেন।

একটি সূত্র জানিয়েছে, জাহিদ গফরগাঁও উপজেলার পাগলা এলাকায় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজাদ পন্ডিত জানান, শান্তি সমাবেশের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য সকাল ৮টা থেকে দলের কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা আসতে থাকে। শান্তি সমাবেশের প্রায় ১০০ গজ পূর্ব দিকে ও প্রায় ৩০০ গজ পশ্চিম দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই ভাগে জড়ো হয়।

আরও পড়ুন: নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন হিরো আলম!

উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহবুব হাসান জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে পশ্চিম পাশে জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে পূর্ব দিকে যাচ্ছিল। তারা (বিএনপি) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ হামলা চালিয়ে বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করে। ওই সময় বিএনপির মিছিল থেকে রিভলবার উঁচিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল জাহিদ। একপর্যায়ে জাহিদ ছুটে গিয়ে তাঁদের (আ. লীগ) দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী সজিব আহমেদ, পিয়াল, তারেক নূরী ও তরিকুলের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে জাহিদ পলাতক। পদযাত্রা ও মিছিলে অস্ত্র উঁচিয়ে একজন কর্মীর অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ প্রধান দাবি করেন, ‘ভিডিও ও ছবি আমিও দেখেছি। কিন্তু এই ছেলেটাকে আমি কেন; বিএনপিরও কেউ চেনে না। বিএনপির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কও নেই।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই অস্ত্রধারী জাহিদ পালিয়ে যায়। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। জাহিদের ব্যাপারে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।’