নোবেল পুরস্কার পেলেও কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: ইউনূস প্রসঙ্গে সেলিম মাহমুদ

ড. ইউনূস
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ  © সংগৃহীত

নোবেল পুরস্কার পেলেও কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, শান্তিতে কিংবা অন্য কোনো বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেলে কেউ দেশের আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে থাকবেন—এটি কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। আইনের শাসনের নীতি অনুযায়ী আইনের চোখে সাবই সমান। কেউ অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। ’ 

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪ নম্বর পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামে এবং ৫ নম্বর পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোয়া গ্রামে ‘দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠকে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘বিচারাধীন কোনো বিষয় নিয়ে বিবৃতি প্রদান বেআইনি কাজ। পাশাপাশি এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পরিপন্থী। একজন নোবেল জয়ী বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে বিদেশি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজের পক্ষে বিবৃতি ছাপিয়ে নিজেই এটি প্রমাণ করেছেন যে, এটি বিবৃতি হিসেবে কোনো পত্রিকা প্রকাশ করতে চায়নি। অর্থাৎ এর কোনো গুরুত্ব গণমাধ্যমে নেই। একটি বিজ্ঞাপনের ওপর আমাদের কিছু গণমাধ্যম যেভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করল, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ’

তিনি বলেন, ‘কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। ফৌজদারি আইন দেশের সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ ফৌজদারি আইনের বাইরে থাকতে পারে না। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একমাত্র রাষ্ট্রপতির মেয়াদকালে তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না। এর বাইরে রাষ্ট্রের সবার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায়। ’ 

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, ‘সম্প্রতি ফিলিপাইনে শান্তিতে নোবেল জয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসা’র বিরুদ্ধে তার নিজের দেশে ট্যাক্স ফাকির মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তার বিচার হয়েছিল। আদালতের চূড়ান্ত রায়ে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। শান্তিতে একজন নোবেল জয়ীর বিরুদ্ধে মামলা, তবুও কেন ফিলিপাইনে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। শুধু তাই নয়, শান্তিতে নোবেল জয়ী সেই বিখ্যাত সাংবাদিক মারিয়া রেসা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে মামলা মোকাবেলা করেছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি সব সময় গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত থাকতেন। সে জন্যই তিনি সব সময় জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে একটি ব্যাগ সাথে রাখতেন। সেই ব্যাগে তার প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় এবং জামিনের জন্য আইনজীবীর ফি রাখতেন’


মন্তব্য