লোডশেডিং নিয়ে ‌‘ফেসবুক লড়াইয়ে’ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ

বিএনপি-আ.লীগ
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট  © সংগৃৃহীত

গত কয়েকদিন ধরেই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল। অবশেষে আজ সোমবার (৫ জুন) থেকে কয়লার অভাবে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে পটুয়াখালীর ১,৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট গত ২৫ মে বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ২০-২৫ দিন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টজনেরা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কমে যাওয়ার রাজধানীসহ সারা দেশে গত কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। জৈষ্ঠ মাসের তীব্র গরমের সঙ্গে অতিরিক্ত লোডশেডিং জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। 

এরই মধ্যে লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পিছিয়ে নেই দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলও। 

গতকাল রবিবার (৪ জুন) লোডশেডিং নিয়ে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় একটি পোস্ট করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ওই পোস্টে তারা লেখে, ‌‘হারিকেন নিজেও ভাবেনি এই শতভাগ বিদ্যুতের যুগে সে আবার তার ভরা যৌবন ফিরে পাবে!’
 
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পোস্টটির জবাব দিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে। ‘বিএনপির করা পোস্টের জবাব দিয়ে তারা লেখে, হারিকেনের আলোতেই নিজেদের হারানো যৌবন ফিরে পেলো বিএনপি। কারণ, এই হারিকেনের আলোতেই কেটে গেছে তাদের ৫ টি বছর।’

দুইটি পোস্টই ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ২০ ঘণ্টায় প্রায় ৩২ হাজারের বেশি রিয়েক্ট, ১৭০০ কমেন্ট এবং ৬ হাজার শেয়ার হয়েছে বিপএনপির পোস্টটি। অপরদিকে ১৪ ঘণ্টা আওয়ামী লীগের পেজে করা পোস্টটে সাড়ে ৫ হাজার রিয়েক্ট, ১ হাজার কমেন্ট ও ১১০০ শেয়ার হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড় বিদ্যুতের চাহিদা ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন ১২ থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। তবে কখনো কখনো দৈনিক চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎও উৎপাদন হয়। যেমন এ বছরের ২৯ এপ্রিল সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। সেদিন দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৫৫৫ মেগাওয়াট।


মন্তব্য