উনি কি মারা গেছেন? মুফতি ফয়জুলের ওপর হামলা প্রসঙ্গে সিইসি

সিটি নির্বাচন
নির্বাচন পরিদর্শন করতে গেলে মুফতি ফয়জুল করীমের ওপর আক্রমণ করা হয়  © সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থীর রক্তাক্ত হওয়াটা ‘আপেক্ষিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

তিনি বলেছেন, ‘উনি (প্রার্থী) কি ইন্তেকাল করেছেন? না, উনি কি কতটা… আমরা যেটা দেখেছি, ওনার কিন্তু রক্তক্ষরণটা দেখিনি। যতটা শুনেছি, ওনাকে কেউ পেছন দিক থেকে ঘুষি মেরেছে। ওনার বক্তব্যও শুনেছি, উনিও বলেছেন—“ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে।’”

আজ সোমবার (১২ জুন) বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি হাবিবুল আওয়াল বলেন, আক্রমণের ঘটনার বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভোট বাধাগ্রস্ত হয়নি। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দু-চারটি ঘটনা ছাড়া সার্বিক অর্থে সুন্দর ও সুচারুভাবে নির্বাচন হয়েছে। কমিশন সন্তুষ্ট।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁরা ধারণা করছেন, খুলনায় ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ এবং বরিশালে ৫০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, আজ দুপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এই মেয়রপ্রার্থী।

এর আগে সকাল ৮টায় দুই সিটিতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগই নারী। এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তরুণ ভোটাররা। এদিকে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে তৎপর ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।