রাসিক নির্বাচন
ভোটকেন্দ্রে হঠাৎ দেখা, দুই মেয়রপ্রার্থীর কোলাকুলি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ০৩:০৭ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ০৩:০৭ PM

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ভোট দেয়া শেষে কুশলবিনিময় এবং কোলাকুলি করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল)।
বুধবার (২১ জুন) সকাল থেকে রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে। সকাল ৯টার দিকে ভোট দেন খায়রুজ্জামান লিটন। সকাল ১০টায় আটকোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের সঙ্গে দেখা হয়।
পরে উভয়ই একে অপরের সঙ্গে কুশলবিনিময় এবং কোলাকুলি করেন। পরে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক জানিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হবে হলে আশা প্রকাশ করেন তারা। দুজনই ফলাফল মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে, সকাল ৯টায় নগরীর স্যাটেলাইট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাজশাহীতে ভোটের জোয়ার বইছে। নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করে ভুল করেছে। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ থাকলে পরিবেশ আরও উৎসবমুখর হতো।’
এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জয়ের আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট পড়বে।’
এদিকে, সকাল ১০টায় আটকোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে ইভিএম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অনেক ভোটার এসেছে ভোট দিতে; কিন্তু মেশিনে সমস্যা এবং ধীরগতির কারণে তারা ভোট দিতে পারছেন না।’
স্বপন বলেন, ‘আমি পাঁচটি কেন্দ্রে গিয়েছি, সব কেন্দ্রেই এমন ধীরগতি দেখেছি। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে আশানুরূপ ভোট কাস্ট করা সম্ভব হবে না। এতে ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হবে।’
যদিও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ফলাফল যা-ই হোক, তা মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। এরা হলেন: আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী এরই মধ্যে ভোট বয়কট করেছেন।
এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ প্রার্থী। ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ছয়জন।
এদিকে, ফল ঘোষণার পর কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নগরজুড়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আমাদের কাছে তথ্য আছে, ফল ঘোষণার পর কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ৪০টি মোবাইল টিম মাঠে রাখা আছে।’
এছাড়া নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।