সরকারের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার তিনি কে? ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে কাদের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩৩ PM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩৩ PM

‘সরকারের সময় শেষ’—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সময় আর নেই, সরকারের সময় শেষ’—বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য শুধু অসাংবিধানিকই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহমূলকও বটে ।’
আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে গণতন্ত্রবিরোধী ও ষড়যন্ত্রনির্ভর রাজনৈতিক দল।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাঁরা (বিএনপি নেতারা) অসাংবিধানিক পন্থায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা সময়সীমা নির্ধারণের এখতিয়ার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপির নেই।
সরকারের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার তিনি কে? জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সাংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদ শেষে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।’
বিএনপি বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করেছে, পুনরায় এমন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতা দখলে রেপরোয়া বিএনপি বিদেশি প্রভুদের করুণা লাভের আশায় মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের বিদেশি প্রভুরা নির্বাচন নিয়ে কী বলবে, সেদিকে তারা মুখিয়ে থাকে।
ক্রমাগতভাবে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে দেশের জনগণের ওপর বিএনপি বিশ্বাস হারিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশি প্রভুদের মদদপুষ্ট হয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করছে। ফলে বিএনপি কখনোই জনকল্যাণের নীতি গ্রহণ করতে পারেনি এবং জনগণও তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
সেতুমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। বিএনপি ক্ষমতায় এসে এ দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করেছিল, ভোট চুরির নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি আমলে পরিচালিত অপশাসন ও দুর্নীতির কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘুদের ওপর নারকীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছিল, ভিন্নমত দমনে ইতিহাসের জঘন্য নজির স্থাপন করেছিল।
সরকারের কর্মকাণ্ডে মানুষ খুশি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ তাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বারবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে নিরাপদ মনে করেছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার সর্বদা জনকল্যাণের নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। উন্নয়ন অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দেবে ইনশা আল্লাহ।’