১২ জুলাই: পল্টনে বিএনপি, বায়তুল মোকাররম গেটে আ.লীগের শান্তি সমাবেশ

রাজনীতি
পাল্টাপাল্টি সমাবেশ  © ফাইল ফটো

বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেটে বুধবার (১২ জুলাই) আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের অনুমতি দিলো ডিএমপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবারের সমাবেশকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে বিএনপি, একই দিন পাল্টা শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগও। 

দল দুটোকে এক ও অভিন্ন শর্তে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার বিকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, শর্তসাপেক্ষে দুই দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দুই দলের জন্যই অভিন্ন শর্ত থাকছে। জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না। যানজট তৈরি করা যাবে না। এমন কিছু শর্তে দুই দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সমাবেশের নামে কোনো বেআইনি কার্যকলাপ করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে একই দিনে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। 

বিএনপিকে দেওয়া শর্ত

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রের উল্লেখিত শর্তগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমতি পাওয়া স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৮. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।  

৯. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

১১. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

১২. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেওয়া বা প্রচার করা যাবে না।

১৩. সমাবেশ কার্যক্রম ছাড়া মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

১৪. সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।

১৫. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।  

১৬. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১৭. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।  

১৮. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা বক্তব্য দেওয়া যাবে না।  

১৯. উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

২০. কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।

২১. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।  

২২. উল্লেখিত শর্তাদি পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২৩. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ