ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশই সাদ্দাম-ইনানের

ছাত্রলীগ
  © ফাইল ছবি

গত বৃহস্পতিবার ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। নতুন কমিটিতে ৩০১ জনের মধ্যে অন্তত ৯০ জন শুধু ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের উত্তরবঙ্গ ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের বরিশাল অঞ্চল থেকে পদ পেয়েছেন। 

যদিও গত বছরের ডিসেম্বরে দায়িত্ব পেয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ‘বিকেন্দ্রীকরণ’ করে কেন্দ্রীয় কমিটি করা হবে।

ঘোষিত কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ৭১ জনকে। এর আগে এই পদে ৬১ জন থাকলেও এবার কমিটির আকার অপরিবর্তিত রেখে এই পদ ১০টি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১১ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন ১১ জন। ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে সভাপতি সাদ্দাম হোসাইনের নিজ অঞ্চল উত্তরবঙ্গ এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অঞ্চল বরিশাল হতেই পদায়িত করা হয়েছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশজনকে। সংখ্যার হিসেবে যেটি প্রায় ৯০ জন। 

এর মধ্যে সহ-সভাপতি পদে ১৪ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৩ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৬ জন, সম্পাদক ১০ জন, উপ-সম্পাদক ৩৯ জন, সহ-সম্পাদক ৬ জন। এক্ষেত্রে সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল নেতৃত্বের আসার ক্ষেত্রে তলানিতে রয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে মাত্র আটজন স্থান পেয়েছেন। 

তবে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দাবি কমিটিতে সব অঞ্চল থেকে পদায়ন করা হয়েছে। কোনো ধরনের আঞ্চলিকতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি।’ সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সব অঞ্চল থেকে পদায়ন করা হয়েছে। কোনো ধরনের আঞ্চলিকতা প্রাধান্য দেয়া হয়নি।’

উল্লেখ্য, সম্মেলনের দীর্ঘ সাত মাস পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয় গত বৃহস্পতিবার। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়। ২০ ডিসেম্বর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরও নাম ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তবে এই তিন কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি।