ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন

কেন্দ্রে বেধড়ক পিটুনির শিকার হলেন হিরো আলম

হিরো আলম
আজ বনানীতে হিরো আলম  © সংগৃৃহীত

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বনানীর এক কেন্দ্রে বেধড়ক পিটুনির শিকার হলেন সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ভোট কেন্দ্রের ভেতর থেকে ধাওয়া দিয়ে বাইরে আসার পরে রাস্তায় ফেলে তাকে পিটিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা। হামলাকারীরা নৌকা মার্কার ব্যাজ পরে ছিলেন। 

আজ সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকার  বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর এ হামলা হয়।

মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে  হিরো আলম দৌড়ে পালান। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে একটি স্থানে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে তাঁর সেখানে পৌঁছালে গাড়িতে করে চলে যান।

আজ বিকেল তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন  হিরো আলম। সেখানে তিনি একটি নারী ভোট কেন্দ্রে যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে চলে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়া যান। তখনও পিছু নেন উত্তেজিত নেতাকর্মীরা।

স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বেরুনোর পরে হিরো আলমের পাশে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন না। স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে দিয়ে সোজা ১৬ নম্বর সড়কের দিকে দ্রুত এগুতে থাকেন হিরো আলম। একপর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন, তখন তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন ওই নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তাকে রাস্তায় ফেলে পা দিয়ে লাথি-গুতা দিতে থাকে তারা।

হিরো আলমের সঙ্গীরা তাঁকে রক্ষা করে সামনের দিকে  নিয়ে গেলে ২৩ নম্বর সড়কের ব্লক এ পর্যন্ত তাঁকে পেছন থেকে ধাওয়া করা হয়।

এ সময় হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের বলতে শোনা যায়, সে করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়। এমপির মানে সে জানে?

কেউ কেউ আবার বলছিলেন, তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না। হিরো আলম চলে যাওয়ার পর পুলিশ হিরো আলমকে মারধরকারীদের একজনকে আটক করে।

বর্তমানে হিরো আলম হাসপাতালে ভর্তি আছেন।