কম্বোডিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেখে অনেকেই আনন্দিত: সেতুমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৬:২৩ PM , আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৬:২৩ PM

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিরোধী দল। তাই নির্বাচনের পর দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ঘটনায় (বাংলাদেশের) অনেকেই আনন্দিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বিএনপি সহিংসতার পরিকল্পনা করছে, এজন্য সীমান্ত থেকে অস্ত্র কিনছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন:- কেউ ঘেরাও করলে ঘেরাও হয়ে বসে থাকব: ইসি আনিছুর রহমান
সেতুমন্ত্রী বলেন, "খবর পাচ্ছি সীমান্তের এপার থেকে অস্ত্র কিনছে তারা (বিএনপি)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটি ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুত করছে। বিএনপি জানে তারা গণশক্তি, জনশক্তি নয়। তারা মনে করে, অস্ত্রশক্তি হলো আসল শক্তি। যারা অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকার কথা নয়।"
ওবায়দুল কাদের বলেন, "বিদেশিদের কী করে বোঝাব, যে বিএনপি এমন একটা দল, যাদের গ্যারান্টি দিতে হবে, নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে? তাদের জয় সুনিশ্চিত। এ গ্যারান্টি না দিলে তারা কখনো চলমান নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হবে না। আমাদেরও চোখ কান খোলা রাখতে হবে।"
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমরা চাই সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। জাতির কাছে এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি। সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন কবাধি শেখ হাসিনার কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা আজকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনে সাব-অফিস নয়, নির্বাচন অফিস এখন একটা স্বাধীন অফিস। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর। এই একটা বিষয়ে, ২০০৯ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী এই দুটি সময়কে মিলিয়ে দেখতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থায় কারচুপি, জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।"
আরও পড়ুন:- নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ফের পেছাল
তিনি বলেন, "একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত, কম্বোডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কম্বোডিয়ায় নির্বাচনে বিরোধীদল অংশ নেয়নি, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এখানেও যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, সেটা কার অপরাধ? আমরা তাদের সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছি। এতদিন যার মুখ-চোখ শুকিয়ে শুকিয়ে গিয়েছিল, এখন আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি। দেখতে মনে হয় অনেক ভালো মানুষ, অথচ মুখে এতো বিষ। কি বাজে ভাষায় বক্তৃতা করে।"
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সাত জেলার সমাবেশ, আর আমাদের সাত উপজেলা সমাবেশ; সাত উপজেলা আর সাত জেলা, পার্থক্যটা দেখবেন। সবাই দেখেছে। এটা শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি আস্থার নিদর্শন।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে আর নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। সংঘাত আমরা করব না। আমরা মাঠে সতর্ক থাকব। সংঘাত যারা করতে আসে, তাদের আমরা প্রতিহত করব। তারা খালি মাঠ পেয়ে সংঘাত করবে, এটা সবাই জানে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।