এতদিন যা দেখেছেন ট্রেইলার, এখন ফাইনাল হবে: নুর

নুর
  © ইউএনবি

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন অধিকার পরিষদের মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজ পিছু হটলেও আগামীকাল থেকে হটবো না। এ সরকারের মরণঘণ্টা বাজাবো। আরও ট্রেইলার দেখবেন ২৭ তারিখ থেকে। আমরা এখন চূড়ান্ত দফারফার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। এতদিন যা দেখেছেন ট্রেইলার, এখন ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ ফাইনাল খেলায় যারাই সামনে পড়বে ফুটবলের মতো উড়িয়ে দিতে হবে।’

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় পল্টনের প্রীতম-জামান টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট-কদম ফোয়ারা-মৎস্য ভবন ও শাহবাগ হয়ে পৌনে ২টায় বাংলামোটরে পৌঁছার পর পুলিশি বাধায় পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ২টার দিকে পুলিশের বাধার মুখে সড়কে বসে পড়েন মিছিলকারীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। এদিকে, মিছিলের পেছনে দেখা দেয় তীব্র যানজট। শাহবাগ থেকে পল্টন মোড়, গুলিস্তান সড়কে পৌঁছে গেছে যানজট।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে নুর বলেন, বিতর্ক, টকশো কিংবা জনসম্মুখে বসেন। গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন না পাওয়ার একটা কারণ যদি আপনারা দেখাতে পারেন, রাজনীতি ছেড়ে দেবো। সরকারের চাটুকারিতা করতে অস্তিত্ববিহীন দলকে নিবন্ধন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পর তৃতীয় জনপ্রিয় দল গণপরিষদকে নিবন্ধন বঞ্চিত করে অন্যায় করেছেন। এর খেসারত আপনাদের দিতে হবে। যেসব দল রাজপথে সক্রিয় রয়েছে, অন্যথায় কাপড়-চোপড় গায়ে থাকবে না।

ইসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী সাতদিন আপনাদের সময়। সাতদিনের মধ্যে আপনাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করেন ফাইনাল খেলা হবে।তখন আর ট্রেইলার ও ট্রায়াল হবে না। ফুল অ্যান্ড ফাইনাল হবে।

প্রসঙ্গত, গণঅধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সক্রিয় রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে আন্দোলন করে আসছে দলগুলো।

পরে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিজেদের দাবি জানাতে ইসিতে রওনা হন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, হানিফ খান সজিব, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী ও শহিদুল ইসলাম ফাহিম।