যে কারণে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দিতে পারবেন না তারেক রহমান
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৪:১২ PM , আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৪:১২ PM

অবশেষে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামির বক্তব্য প্রচার না করার শর্তে বিএনপিকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ সোমবার (৩১ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ শুরু হয়েছে।
সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার, সম্প্রচার বা পুনঃপ্রচারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গেল শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিএনপির মহাসমাবেশে তার অডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে ১৫ জুলাইয়ের সমাবেশের আগে দেওয়া ২৩ শর্তের সঙ্গে নতুন আরও তিনটি শর্ত যোগ করেছে ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ সহকারী সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, "আমরা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির বক্তব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে শব্দ সীমিত করাসহ নতুন তিনটি শর্ত যুক্ত করেছি।"
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, "যখনই তারা আবেদন করেছে আমরা (সমাবেশ করার) অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু যখন কোনো অনুষ্ঠান বা সমাবেশ নিয়ে নেতিবাচক গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে আসে, তখন আমরা সেসব বিষয় বিবেচনা করে অনুমতি দেই না। এবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই শর্তে যে, তারা দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির বক্তব্য সমাবেশে প্রচার বা প্রকাশ করতে পারবে না।"
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় অন্তত ১,১০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগের প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিএনপি।
এর আগে ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে গত ১৫ জুলাই নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ডিএমপি।
এর আগে, রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের সোমবারের সমাবেশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বিএনপি।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, "আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনার পর তা না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার সিদ্ধান্ত হয়।"
এর আগে, গত ২৮ জুলাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, দল আর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জন্য পুলিশের অনুমতি নেবে না।
বিএনপির এ নেতা জোর দিয়ে বলেছিলেন, বিএনপি কেবল তাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে, অনুমতি চাইবে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক রবিবার বলেছিলেন, সোমবার দেশব্যাপী সমাবেশের অনুমতি না পেলে বিএনপিকে কোনোভাবেই রাজপথে নামতে দেওয়া হবে না।
চাঁদাবাজি, মানি লন্ডারিং, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহ, জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলাসহ ১৯টিরও বেশি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন তারেক রহমান।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান এবং জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪.৮১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তারেক ও জোবায়দা।
এছাড়া, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৪ বছর পর, ২০১৮ সালে তারেক রহমানকে দুই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।