যাদের নেতা পালিয়ে গেছে, তাদের মুখে বড় বড় কথা আসে কি করে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

রাজনীতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃৃহীত

খালেদা জিয়ার ছেলেরা মানি লন্ডারিং করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। যারা রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। যাদের নেতা পালিয়ে গেছে, সাজা প্রাপ্ত আসামি, পলাতক আসামি। তাদের মুখ থেকে এতো বড় বড় কথা আসে কি করে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। 

শোকের মাস আগষ্টের শুরুর দিন মঙ্গলবার (১ জুলাই) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষক লীগ আয়োজিত সেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া থেকে খালেদা জিয়া খুনিদের বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উৎসাহিত করেছিল। বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। খুনিরা শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করেনি, ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলেছিল, জয় বাংলা স্লোগানকে নিষিদ্ধ করেছিল, স্বাধীনতার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বোপন করেছিল, স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। 

জিয়া শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম করেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসার- সৈনিকদেরও হত্যা করেছে। বিএনপি দলটি হচ্ছে সন্ত্রাসী দল। দেশেকে এরা সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকেই ধ্বংস করা হয়েছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ব্যাপকভাবে অপপ্রচার চালিয়েছে। যুদ্ধাপরারাধী, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তাদের প্রভুরা এখনো সেই চক্রান্তে লিপ্ত। তারা বারবার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ যেন কোনো ভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ আজ প্রমাণ করেছে দেশের উন্নয়ন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই হয়। 

কৃষকদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি তারা যেন ফসলের দাম পায় সেটা আওয়ামী লীগ সরকারই নিশ্চিত করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি বন্ধের কথা যতই বলা হোক আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় কৃষকের পাশে আছে। যখন যা লাগবে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। এই প্রথম দেশে একটি স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছি। আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। বিএনপি কখনো চায়নি দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। 

ওয়াল্ডব্যাংকের পরামর্শে তারা বীজ গবেষণা বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু বীজের ব্যবসা করার জন্য। আমরা কারো পরামর্শে না। নিজের মাটি, মানুষের কল্যাণে আমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে গবেষণা বাড়িয়েছি। ফলে দেশে আজ সব শস্যের উৎপাদন বেড়েছে। বিএনপির আমল থেকে উৎপাদন চারগুণ বাড়িয়েছি। 

খাদ্য শস্য, মাাছ, মাংস উৎপাদন, গবাদি পশু সব ক্ষেত্রেই উৎপাদন বেড়েছে। বিএনপির ১ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে এখন কৃষি ভর্তুকি ২৬ হাজার কোটি টাকা। বিরোধী দল যারা বলছে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না- তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ পালায় না। কারণ তাদের মত আওয়ামী লীগ লুট করে না। খালেদা জিয়ার ছেলেরা মানি লন্ডারিং করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। যারা রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। যাদের নেতা পালিয়ে গেছে, সাজা প্রাপ্ত আসামি, পলাতক আসামি। তাদের মুখ থেকে এতো বড় বড় কথা আসে কি করে বলেও মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।