দেশের মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
  © ইয়াসিন কবির জয়

নৌকা ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে পারে। 

আজ বুধবার (২ আগস্ট) রংপুরে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হয়। একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আসলেই মানুষের উন্নতি হয়। কাজেই নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও আমাদেরকে কাজের সুযোগ করে দেবেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালে মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত দেশ রেখে যাব।

তিনি বলেন, বাবা, মা, ভাই হারিয়েছি, আমার হারাবার কিছু নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার আমার সংসার। জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাই।

রংপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ধ্বংস করে, আমরা সৃষ্টি করি। তারা ক্ষমতায় এসে দেশের প্রতিটা সেকটরকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই ভাঙাচোরা দেশটাকে আবার নতুন করে গড়েছে। আপনারা আমার পরিবার, আপনারা আমার সব। তাই আমাকে ভালোবেসে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন বলে আশা রাখছি।

তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যখনই সরকার গঠন করতে পারবো তখনই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবো। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আমি রংপুরে খালি হাতে আসিনি। আমি অনেকগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। একসাথে এতগুলো প্রকল্প আর কেউ করেছিলো কিনা জানি না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের তরুণ-তরুণীরা দেশকে এগিয়ে নেবে। তাদের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগই রংপুরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে তাই আরও উন্নয়নের জন্য নৌকায় সমর্থনের আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল ৩টা ২৬ মিনিটে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের মহাসমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান।

দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসে যান। সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে সকাল থেকে রংপুর নগরীসহ বিভাগের আট জেলা ও ৫৮টি উপজেলার গ্রাম পর্যায় থেকে আসেন নেতাকর্মীরা। দুপুর ১টার আগেই সভাস্থল জিলা স্কুল মাঠ ছাড়িয়ে নগরীর ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। মুহুর্মুহু স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো রংপুর।