জিয়ার বিচার ও তারেক-জোবায়দাকে দেশে ফেরাতে যুবলীগের স্মারকলিপি

যুবলীগ
জিয়াউর রহমান, তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান  © ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ।

ওই স্মারকলিপিতে ২১ অগাস্টের বোমা হামলা ও দুর্নীতিতে দণ্ড পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করারও দাবি জানানো হয়েছে। তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমানকেও দেশে ফেরানোর দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

স্মারকলিপি হাতে পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুবলীগের দাবিগুলো যৌক্তিক। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিতে যাবার আগে সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সমাবেশ করে যুবলীগ। সেখানে খুনিদের প্রশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি শেখ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল, তারা দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকেই হত্যা করতে চেয়েছিল।

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর না করা পর্যন্ত যুবলীগ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

বিএনপি-জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না হলে রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যুবলীগের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে বলে সমাবেশে হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। 

তিনি বলেন,তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করতে প্রশাসনকে বাধ্য করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মাফিয়া চক্রের সদস্য তারেক রহমান কারাগারের বাইরে থেকে দেশকে ধ্বংস করবে।  

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে সাজা কার্যকরের দাবি জানিয়ে নিখিল বলেন, দেশের অগ্রগতিকে নষ্ট করতে চায় বিএনপি। দেশের স্বাধীনতা ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়ার পর একই দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও স্মারকলিপি দেবার কথা রয়েছে যুবলীগের।

সমাবেশে যুবলীগের নেতারা বলেন, ক্ষমতায় আসতে না পেরে বিএনপি আবারও হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সমাবেশ থেকে সচিবালয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে রওনা দেন যুবলীগের নেতারা। এ সময় জিরো পয়েন্টে মিছিলের গতিরোধ করে পুলিশ। পরে স্মারকলিপি নিয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা করে যুবলীগের প্রতিনিধি দল।