অস্ত্র, ককটেলসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গ্রেপ্তার

ছাত্রদলের
  © সংগৃৃহীত

ঢাকার কলাবাগানের হাতিরপুল এলাকা থেকে গুলিভর্তি পিস্তল, ককটেলসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল হাসান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারের ছয় দিন পর আজ সোমবার এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর–রশীদ।

এর আগে রাজধানীর লালবাগে নাশকতার পরিকল্পনার প্রস্তুতিকালে গত ১৯ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩টি বিদেশি পিস্তল ও ৩৬ রাউন্ড গুলি।
 
ওই সময় গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছিল, তাদের কাছ থেকে অস্ত্র সরবরাহকারী এবং ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানের সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহকারীদের সঙ্গে কথোপকথনের তথ্য মিলেছে। উদ্ধারকৃত তিনটি অস্ত্রের বাইরে আরও ৮টি অস্ত্র সংগ্রহের তথ্যও মিলেছে।
 
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম বলেছিলেন, জিসানের যে মোবাইল ফোন আমরা জব্দ করেছি তাতেই আমরা ১১টি অস্ত্রের সন্ধান পেয়েছি। যার মধ্যে তিনটি আমরা উদ্ধার করেছি। অস্ত্রের ডিলার যে তাকে মেসেজ পাঠিয়েছে সেটা জুন-জুলাই মাসের কনভারসেশন। টেকনাফের এক মাদক ও অস্ত্রের ডিলার এবং পাবনার আরেক ডিলার তাদের নজরদারিতে আছে।

রিফাত রহমান শামীম আরও বলেছিলেন, তারা ঢাকায় অস্ত্র মজুদ করছিলো। সামনে যদি শক্তি প্রদর্শন কিংবা মহড়ার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে এই অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিলো তাদের। আমরা একজনের তথ্য পেয়েছি যিনি মাদক এবং অস্ত্রের ডিলার। আরেকজনকে পেয়েছি যিনি শুধু অস্ত্রের ডিলার। এরকম বিভিন্ন পরিচয় আছে। বাকি আটটি অস্ত্রের সন্ধানে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
 
আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার উদ্দেশ্যে অস্ত্র মজুদ করছে ছাত্রদল এমন তথ্য জানানো হয়েছিলো গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে। ১১টি অস্ত্র সংগ্রহ করেন ছাত্রদলের ৬ নেতা, ৮টির খোঁজে নামেন গোয়েন্দারা। এই তিনটি অস্ত্রের বাইরেও আরও আটটি বিদেশি পিস্তল ছাত্রদলের নেতাদের সংগ্রহে আছে এমন তথ্যও দিয়েছিলো পুলিশ।