কেউ হয়তো ইইউকে বিবৃতি দিতে অনুরোধ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  © ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্টের প্রস্তাবিত রেজল্যুশনের কোনো আইনি এখতিয়ার (লেজিসলেটিভ অথরিটি) নেই। 'এ প্রস্তাবের বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আলোচনার আইনগত বাধ্যবাধ্যকতা নেই। এটা বাধ্যতামূলক নয়,' তিনি বলেন। 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর বিরুদ্ধে মামলার ওপর বিশেষ মনোযোগসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ-এর মূল্যায়নের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সাতশতাধিক সদস্য রয়েছেন। তাদের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এটি তাদের বিশেষ অধিকার। তবে এটি হতাশাজনক যে তারা প্রায়শই নির্দিষ্ট দলের পক্ষে বিবৃতি প্রদান করেন। কেউ হয়তো তাদের এমন একটি বিবৃতি ইস্যু করার জন্য অনুরোধ করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা দেশে তাদের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে আলোচনা থেকে সৃষ্ট মনোযোগ উপভোগ করেন। যদি তাদের উপেক্ষা করা হতো, তাহলে এ বিবৃতিগুলো আর আসত না।

এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে, বিশেষ করে দেশের আদালতে আইনি প্রক্রিয়াধীন থাকা বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, 'ইউরোপীয় কাউন্সিল অ-আইনমূলক পদক্ষেপকে বিবেচনায় নেয় না।'

শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, 'আজকের ভোট আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। ভোটের ফলাফলের বিভিন্ন প্রভাব থাকতে পারে। অনেক সময় প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর আর কিছু হয় না। আবার একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার অনুরোধ করতে পারে। তবে এটি হস্তক্ষেপ সৃষ্টি করে। আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তিবোধের জয় হবে।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চক্রান্ত হিসেবে আমরা অবশ্যই এটিকে আমলে নেব। এরকম কোনো কার্যক্রম হলে তো আমরা চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকতে পারি না।'


মন্তব্য