আবারও কেউ যেনো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা বিকৃত করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

কেউ যেনো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা বিকৃত করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হলেও শিল্পী-সাহিত্যিকরা সেটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর নির্বাসিত সময়ে বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হয়নি। দেশের মানুষের সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার ও উন্নয়নে কাজ করে গেছে সব সময়।

আরও পড়ুন:- ‘আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই’

শিল্পী শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধাও। মুক্তিযোদ্ধার তুলির আঁচড়ে উঠে আসে আমাদের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের আত্মত্যাগ, যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল এবং আমরা বিজয় অর্জন করি, সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার তুলির আঁচড়েই যেন কথা বলে। অনেক গল্প, অনেক কথা বলার থেকেও তুলির আঁচড়েই যে ফুটে ওঠা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। যেই ইতিহাস পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর আমাদের সম্পূর্ণ বিকৃত করা হয়েছিল। আমাদের বিজয়ের বার্তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। মূলত পরাজিত শক্তিরাই যেন বসে আছে, দেশ চালাচ্ছে। যার জন্য আমাদের সেই স্বাধীনতার কথা, কবিতা, গান যেভাবে মানুষের মাঝে একটা চেতনার সৃষ্টি করতো, সেটাই হারাতে বসেছিল।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে শিল্পীর তুলির আঁচড় অনেক শক্তিশালী। শাহাবুদ্দিন আমার ছোটো ভাইয়ের মতো। আমি মনে করি সে সবার মধ্যে অন্যতম, শ্রেষ্ঠ। কারণ সে হৃদয়ে ধারণ করে, সে যে মুক্তিযোদ্ধা ছিল, এখনও সে মুক্তিযোদ্ধাই। সেই চিন্তা-চেতনা নিয়েই তার শিল্পকর্ম। যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে।