‘কারাবন্দী খালেদা জিয়া’, শুরু হল বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ

রাজনীতি
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ  © সংগৃৃহীত

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তির লক্ষ্যে এক দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ করছে বিএনপি।

ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রোডমার্চপূর্ব সমাবেশ। এর আগে দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশন করেন জাসাসের শিল্পীরা। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা এতে বক্তব্য রাখেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় থাকছেন রোডমার্চের নেতৃত্বে। রোডমার্চটি ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা-যশোর হয়ে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করবে।

বিএনপির খুলনামুখী রোডমার্চের বহরে রয়েছেন কারাবন্দী দলের চেয়ারপরার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বহরের একটি পিকআপ ভ্যানে ভ্রম্যমাণ কারাগারে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন তিনি। সেই কারাগারে বসেই হাত তুলে নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছেন বেগম জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একথা সবার জানা। তাই এই চিত্র অবিশ্বাস্য মনে হবে সবারই। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া স্ব-শরীরে না থাকলেও প্রতীকিভাবেই তাকে উপস্থিত রাখা হয়েছে এই রোডমার্চের বহরে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ থেকে খুলনামুখী রওনা হওয়া রোডমার্চের বহরে লোহার শিকের আদলে একটি কারাগার বানিয়ে সেখানে বেগম জিয়ার আবয়বে সাজিয়ে একজন নারীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সেই প্রতীকি কারাগারের দেওয়ালে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিও লিখে রাখা হয়েছে। স্বশরীরের উপস্থিত না হলেও এই প্রতীকি খালেদা জিয়া বেশ উৎসাহ যোগাচ্ছে রোডমার্চে উপস্থিত নেতাকর্মীদের। 

সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, সারা দেশে বিএনপির তৃণমুলের নেতাকর্মিরা জেগে উঠেছে। এছাড়া দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার এবং দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ বিএনপির পাশে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বও বলছে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দায়িত্ব দিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।