বাবার চেয়েও বড় অফিসার হতে চান ২৮ অক্টোবর নিহত হওয়া পুলিশ সদস্যের মেয়ে

২৮ অক্টোবর
নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুলের পরিবারের হাতে পেনশনের টাকা তুলে দেওয়ার একটি মুহুর্ত  © সংগৃৃহীত

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে ডিউটি ছিল পুলিশ অফিসার মো. আমিরুল ইসলামের। দিনটি ছিল বিএনপির মহাসমাবেশের। হঠাৎ সমাবেশস্থল রূপ নেয় সহিংসতায়। বিএনপি-পুলিশের মধ্যে সংঘাত বাধে। পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এদিকে পুলিশও তাদের দিকে ধেয়ে আসা ইট-পাটকেল তুলে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিকে ছুড়তে থাকে। সেইসঙ্গে টিয়ারশেলও।

হঠাৎ কেমন করে দলছুট হয়ে যায় আমিরুল ইসলাম। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে পেটাতে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা। একসময় তাদের পাশবিকতা থেমে যায়। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নির্মম হামলায় নিহত হলেন তিনি।

পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলামের মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পেনশনের চেক ও আনুতোষিক সুবিধা প্রদান করলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় কনস্টেবল আমিরুলের ছোট্ট মেয়ে বাবার চেয়েও বড় পুলিশ হওয়ার কথা কমিশনারকে ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন:- বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

আজ বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে নিজ অফিস কক্ষে নিহত আমিরুলের পরিবারের কাছে তিনি পেনশনের চেক, ভবিষ্যৎ তহবিলের জমাকৃত অর্থ ও ল্যামগ্রান্ডের সমুদয় অর্থ প্রদান করেন। এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কমিশনার তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমরা ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ ৩৪ হাজার সদস্য নিয়ে একটি পরিবার। আমিরুলের পরিবারও আমাদের পরিবার। যেকোন প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের পাশে থাকবে।

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশ আসা মানুষের নিরাপত্তায় ভোর থেকেই বক্স কালভার্ট রোডের মাথায় দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টবল আমিরুল। বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশ থেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নারকীয় হামলায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।


মন্তব্য