মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হুমকি দেওয়া নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ PM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৬ PM

ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল তার বক্তৃতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে 'মারধর' করার হুমকি দেন। এটা নিয়ে বেশ বিবৃত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন সরকার। এবার একজন বিদেশি কূটনীতিককে প্রকাশ্যে ভাষণে হুমকি দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কূটনৈতিক বিষয়ে সব নিয়ম ও দায়িত্বকে সম্মান করে এবং অপর পক্ষের কাছ থেকেও অনুরূপ ব্যবহার আশা করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা আশা করে স্বাগতিক দেশের সরকার তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন:- মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকির বিষয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে স্থানীয় এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এই ধরনের হিংসাত্মক বক্তব্য খুবই অসৌজন্যমূলক।'
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা এবং এর অধীনে থাকা কূটনৈতিক কনভেনশনের কথাও উল্লেখ করেছেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে, তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মুজিবুল হককে কারণ দর্শাতে বলবে এবং সতর্ক করবে।
তিনি তার এক্স অ্যাকাউন্টে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, 'কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন এবং কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে থাকা বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক ও তাদের কর্মী এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।'
আরাফাত বলেন, 'ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন পর্যায় এবং সেই পর্যায়ের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যা আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। আওয়ামী লীগ কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়, তাই তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।'
তিনি আরও বলেন, 'তবে এই বিশেষ ক্ষেত্রে, আমি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার করা ঘৃণ্য বক্তব্যের নিন্দা জানাই। আমি তৃণমূলের সব নেতার আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।'