বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা দিলে মার্কিন কোম্পানিগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  © ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা। তবে বাংলাদেশের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা দিলে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আর বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই।

বাংলাদেশে যখন শ্রমিক অসন্তোষ স্তিমিত, তখন বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার রক্ষায় মার্কিনিদের নতুন নীতি চালু। যাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের। ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে তারা জানায়, জো বাইডেন সরকারের হাতিয়ার হবে নয়া শ্রমনীতি।

এমন আলোচনার ভেতরেই ফের পর্দার সামনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে। কী হয়েছে আলোচনা? এ নিয়ে কোনও কথাই বলেনি দুই পক্ষ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে জিজ্ঞেস করা হলে এ বিষয়ে উত্তর না দিয়ে সরাসরি জানালেন, বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন কোম্পানিগুলোই।

তিনি বলেন, যদি দুনিয়ার সব শ্রমিকের ভালো অবস্থান সৃষ্টির জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে এর প্রশংসা করতেই হবে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আমেরিকা সরকার বললেই জিনিস বন্ধ হবে না। কারণ, দেশটিতে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশি পণ্য কেনে। তারা মার্কিন সরকারকে পাত্তাই দেয় না।   

সচিবালয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি নেই বাংলাদেশে। তিনি বলেন, বিশ্বের অসংখ্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে অনেক দেশে গণতন্ত্র নেই। সেগুলোতে একদলীয় শাসনব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি তথ্যের অবাধ প্রবাহ নেই। 

সচিব বলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত সমাজ। এখানে গণতন্ত্র চর্চা হয়। যেকোনও বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করা যায়। সেই সঙ্গে মত প্রকাশের সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে বাণিজ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। আসছে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে মার্কিন শ্রমনীতিরও কোনও সর্ম্পক নেই।