ইসিতে কেন এসেছি আপনাকে কেন বলবো? সাংবাদিকদের সঙ্গে ওমরের দুর্ব্যবহার
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৯ PM , আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৯ PM

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাহজাহান ওমর।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশনে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। প্রায় ১৫ মিনিটের মতো সিইসির দফতরে ছিলেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, নির্বাচন ভবনে কেন এসেছেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ইসিতে কেন এসেছি আপনাকে কেন বলবো? আমি কেন এসেছি, এ বিষয়ে আপনাদের জবাবদিহিতা করতে হবে? আমি এমননিতেই ঘুরতে এসেছি, আপনাদের দেখতে এসেছি।
এসময় কয়েকজন সাংবাদিক ছবি তুলতে চাইলে তিনি রেগে যান। সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন শাহজাহান ওমর। এমনকি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় থাবা মারতে যান।
আইন ভঙ্গ করেছেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনি আইন জানেন? কে বললো আমি আইন ভেঙেছি?
আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচন কমিশনের গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ডু এ আদেশ দেন। ইসি জানায়, আপনি (শাহজাহান ওমর) নির্বাচনী এলাকায় সমাবেশে যোগদান করেন এবং বক্তব্য দেন। এসময় আপনার পাশে বন্দুক হাতে একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়, যা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর অধীনে ৬ (ক) (গ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘনের শামিল।
তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠানো হবে না, সে মর্মে আগামী বুধবারের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে আগাম সাক্ষাৎ করতে ইসিতে তিনি আসেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে জানা গেছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি শাহজাহান ওমরকে শোকজ করেছে। শোকজ নোটিশে তাকে নির্বাচনী এলাকায় সমাবেশে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য দেওয়ার কথা বলা হয়। তার পাশে পাশে বন্দুক হাতে একজনকে দেখা যাওয়ার বিষয়টিও শোকজে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (বহিষ্কৃত) ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার পর তাকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।