৫ বছরে মমতাজের আয় বেড়েছে ২৮ শতাংশ
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪০ PM , আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৪ PM

শিল্পী মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনীত প্রার্থী। গতবারের চেয়ে মমতাজের আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে। সেইসঙ্গে কমেছে ঋণের পরিমাণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইসিতে দাখিল করা হলফনামায় তার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য বিবরণী বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ৫ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। বছরে তার আয় এখন ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় যা ছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা।
হলফনামায় তার পেশা হিসেবে শিল্পী উল্লেখ করা হয়েছে। গান গেয়ে মমতাজের বছরে আয় ৭ লাখ টাকা। কৃষি খাত থেকে ৩ লাখ টাকা এবং বাড়ি-দোকান ভাড়া থেকে আসে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৭ টাকা। এছাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৯১ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে বেতন, ভাতা ও আনুষাঙ্গিক পারিতোষিক বাবদ তিনি বছরে আয় করেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মমতাজের হাতে আছে নগদ ৫ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৮ টাকা। মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজ লি. এর ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার রয়েছে রয়েছে তার। সঞ্চয়পত্র আছে ৪৫ লাখ টাকার।
মমতাজ বেগমের নামে গাড়ি আছে তিনটি। এরমধ্যে একটি গাড়ির দাম ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজর ৫০০ টাকা। অপর দুইটির দাম যথাক্রমে ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ২৮ লাখ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের নামে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজে শেয়ার আছে ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার।
কৃষি জমি না বাড়লেও ৫ বছরে মমতাজের ৭শ’ শতাংশ অকৃষি জমি কমেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেয়া হলফনামা অনুযায়ী তার অকৃষি জমি ছিল ১২শ’ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫শ’ শতাংশে। রাজধানীর মহাখালীতে ৫ তলা এবং মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ২ তলা বাড়ি রয়েছে মমতাজের।
মমতাজের স্বামীর নামে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৮ লাখ টাকা এবং ১৩০০ সিসির ফান কার্গো নামে একটি গাড়ি দেখানো হয়েছে। গাড়িটির মূল্য হিসেবে দেখানো হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
৫ বছরে প্রায় ৫২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ঋণের পরিমাণ কমেছে মমতাজের। ২০১৮ সালে মমতাজের ব্যাংক ঋণ ছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৪৬৪ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় ব্যাংক ঋণ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। ভারতের বহরমপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে এবং কলকাতার হাইকোর্টে মমতাজের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারী মামলা চলমান রয়েছে।