নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা আ. লীগ সভাপতির

প্রধানমন্ত্রী
  © সংগৃহীত

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণসহ ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা করেছেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়।

এবারের ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াযাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। দৃশ্যমান অবকাঠামো বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানোর দিকে মনোযোগ দেবে সরকার। ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।

এছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ, সর্বজনীন পেনশন, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ইশতেহারে। গুরুত্ব পাবে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ রোধ।

আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে, প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা ইশতেহারে স্থান পেয়েছে। ২০১৮ সালে দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিলো, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

ইশতেহার ঘোষণায় দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে চ্যালেঞ্জগুলোও উল্লেখ করেন। সেই সাথে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক তথা সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগের ভূমিকাগুলোও তুলে ধরেন তিনি।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১ বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে—  

১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭. নিম্নআয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮. সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

এর আগে এ ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সংবলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল— দিনবদলের সনদ।