নৌকায় ভোটের জন্য ঘরে ঘরে, দুয়ারে দুয়ারে যাবেন: প্রধানমন্ত্রী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৬ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৬ PM

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে এসব জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নিলে ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি না। নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ষড়যন্ত্র আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই মানুষ পোড়ানো, নির্বাচন ধ্বংস করা। নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে উন্নয়ন হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নশীল হিসেবে দেশের যাত্রা শুরুর জন্য যে প্রস্তুতি দরকার সেটা আওয়ামী লীগ নিয়েছে। কাজেই আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটাকে আরও উন্নত করতে চাই। সেজন্য ২০২১ থেকে ২০৪১ এর পরিকল্পনা নিয়েছি। উন্নয়নশীল দেশের পথ ধরে উন্নত দেশ গড়বো।
উন্নত জীবনের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি বরং পিছিয়ে দিয়েছিল। একমাত্র আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় এলে অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারবে। নৌকায় ভোটের জন্য ঘরে ঘরে, দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। ভোট চাইবেন, যেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেয়।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল; তারা নির্বাচনে না আসলে অংশগ্রহণমূলক হবে না, সেটি বিশ্বাস করি না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে জনগণের সমাবেশ হলে এবং জনগণের অংশগ্রহণে। আমরা সেটাই চাই। ওই সন্ত্রাসী দল নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। মানুষ খুন-দুর্নীতি ছাড়া ওদের দিয়ে দেশের কোনো কল্যাণ আসবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নৌকার পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায়, দাঁড়িয়েছে। যার যার ভোট সে চাইবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’- এই স্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। সে কথা মনে রেখে যার যার ভোট সে চান। জনগণ যাকে দেবে, সেটাই মেনে নেবেন। সেভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে।