ভোট দিলেন সাকিব, নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদানের আহ্বান

সাকিব
মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান  © সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরায় নিজের ভোট প্রদান করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান। রোববার সকাল ৮টার দিকে মাগুরার একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটটি প্রদান করতে দেখা যায় সাকিবকে।

ভোট শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। জানান, সকলে যাতে অভয়ে, নিরাপদে ভোট দিতে পারে এই কামনা করছি। ভোট সবার অধিকার। তাই সকলকে নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদানের আহ্বানও জানান তিনি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশের ২৯৯ টি আসনে সকাল আটটায় শুরু হয় ভোট উৎসব। বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। প্রায় ১২ কোটি ভোটার নিজেদের রায়ে বেছে নেবেন নিজে নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের।

নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ফলে ৩শ’ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোট হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। শুধু দুর্গম অঞ্চলের দুই হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে ভোটের আগের দিন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় মোট ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি।

ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ  সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল এবং শনিবার মধ্যরাত থেকে আরো কিছু যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ।

এছাড়া ভোট গ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও স্ট্যান্ডবাই থাকবেন এক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তিন হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে থাকছেন। তারা যে কোনো অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন।

এবার ভোটে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুইজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।

শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দেশবাসীকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনো অনিয়ম হলে প্রয়োজনে ভোট বন্ধ করা হবে।