নির্বাচনে হেরে জামানত হারালেন হিরো আলম ও মাহিয়া মাহি

নির্বাচনে
  © ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে হেরে জামানত হারাচ্ছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম। অনিয়মের অভি‌যোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। নির্বাচনে হিরো আলম দুই হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। জামানত রক্ষার জন্য তার প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭৬ ভোটের।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশ থেকে একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

অন্যদিকে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসনে ট্রাক প্রতীক এর প্রার্থী ছিলেন মাহিয়া মাহি। দুই উপজেলায় মাহিয়া মাহি ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট। আর টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট। সেই হিসেবে মাহিয়া মাহি পেয়েছেন আট ভাগের এক ভাগেরও কম অর্থাৎ ৪.২৫ শতাংশ ভোট। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভোটের এই ফলাফল জানানো হয়।

এর আগে রোববার নির্বাচনের দিন ভোট দিতে পারেননি মাহি। রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মাহি বলেন, আমি হারি বা জিতি ইনশাআল্লাহ সোমবার (৮ জানুয়ারি) পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দেব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব আমি তাদের সঙ্গে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। আর জিতলে এ এলাকার সব শ্রেণিপেশার মানুষকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি তাদের নিয়েই বাস্তবায়ন করব।

আসনটিতে মোট বৈধ ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৬ জন। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৯৭টি। এ ছাড়া সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩টি।


মন্তব্য