এবার ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ওবায়দুল কাদের
  © ফাইল ছবি

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই পলাতক ও গ্রেপ্তার হচ্ছেন বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপি-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেইসঙ্গে অনেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।

বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তার ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে তার মা–বাবার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি সব ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি তথ্য বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ওবায়দুল কাদেরকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। কোটা আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১৫ জুলাই তিনি হুমকি দিয়েছিলেন যে ‘জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত’ রয়েছে। এর পরই আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপরে ছাত্রলীগ চড়াও হয়।